শিরোনাম
◈ নির্বাহী অফিসারের রুমে ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতারা ◈ পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে ভিভ রিচার্ডসের প্রশ্ন ◈ ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে থাকছেন সিমন্স ও সালাউদ্দিন  ◈ গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রকাশ্যে, যা জানাগেল ◈ বিসিবি ক্রিকেটারদের বেতন ও ম্যাচ ফি বাড়াচ্ছে ◈ খালেদা জিয়া আগের যে কোনও সময়ের চেয়ে অনেক ভালো আছেন : ডা. জাহিদ হোসেন ◈ নির্বাচনের মাঠে কোন দল কী অবস্থানে ◈ শাপলা চত্বর ও গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলমের স্ট্যাটাস ◈ তৃতীয় ধাপে প্রাথমিকে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষকের যোগদানের তারিখ ঘোষণা

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ০১ মার্চ, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবি হেলাল হাফিজ যে আঘাত পেয়ে ছিলেন চিরকুমার

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের কাছে জগৎ-সংসার ছিল বড়ই তুচ্ছ। যদিও জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও করেছিলেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, কেন তিনি সংসার করেননি, কেন বেছে নিয়েছিলেন বৈরাগ্য জীবন।

মাত্র তিন বছর বয়সে মা হারান এ কবি। মায়ের মৃত্যুর পর বাবাই ছিলেন তার সবকিছু, কিন্তু সে বাবাও চলে যান ১৯৭৩ সালের ১৯ জুন। বাবার মৃত্যুর পর বড় একা হয়ে পড়েন হেলাল হাফিজ। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, থাকতেন ইকবাল হলে (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)। বাবার মৃত্যুর মাসখানেক পর সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে তার জীবনে।

আর এ ঘটনা ঘটে তার প্রেমিকা নিয়ে। তার প্রেমিকার নাম ছিল হেলেন। হঠাৎ একদিন ওই প্রেমিকা তাকে ডেকে বলেন, কবি, তোমার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিকাসহ গিয়ে বসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে। তখন প্রেমিকা জানান, তিনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তার বাবা-মা তার বিয়ে ঠিক করেছেন।

ছোটবেলা থেকে হেলাল হাফিজ খুব সহনশীল ব্যক্তিত্বের ছিলেন। প্রচণ্ড সহ্যশক্তি ছিল তার। তাই ভেতরের ঝড় বুঝতে দিলেন না প্রেমিকা হেলেনকে। ওখান থেকে উঠে রিকশা নিয়ে সোজা হলে চলে গেলেন। ওটাই হেলেনের সঙ্গে কবির শেষ দেখা ও শেষ কথা ছিল।

সে ঘটনাই কবি হেলাল হাফিজকে চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ করে ফেলে। তার আর ঘর হলো না, সংসারও হলো না।

কবি হেলাল হাফিজ সব সময় বলতেন, আমার জীবনে যারা আমাকে ভালোবেসেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আর যারা আমাকে ভালোবাসেননি, তাদের প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের অবহেলা, অনাদর, প্রত্যাখ্যান আর ঘৃণাই আমাকে কবি বানিয়েছে।

‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাত এ কবি শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রাজধানীর শাহবাগের আবাসস্থল হোস্টেলে মার মরদেহ পাওয়া যায়।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলানিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়