শিরোনাম
◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু ◈ উপসচিব পুলে কোটা: প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে অবস্থান

প্রকাশিত : ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:৩৬ বিকাল
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কবি হেলাল হাফিজ যে আঘাত পেয়ে ছিলেন চিরকুমার

প্রেম ও দ্রোহের কবি হেলাল হাফিজের কাছে জগৎ-সংসার ছিল বড়ই তুচ্ছ। যদিও জীবনের সায়াহ্নে এসে তিনি এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও করেছিলেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, কেন তিনি সংসার করেননি, কেন বেছে নিয়েছিলেন বৈরাগ্য জীবন।

মাত্র তিন বছর বয়সে মা হারান এ কবি। মায়ের মৃত্যুর পর বাবাই ছিলেন তার সবকিছু, কিন্তু সে বাবাও চলে যান ১৯৭৩ সালের ১৯ জুন। বাবার মৃত্যুর পর বড় একা হয়ে পড়েন হেলাল হাফিজ। তখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, থাকতেন ইকবাল হলে (বর্তমান সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)। বাবার মৃত্যুর মাসখানেক পর সবচেয়ে বড় ট্র্যাজেডি ঘটে তার জীবনে।

আর এ ঘটনা ঘটে তার প্রেমিকা নিয়ে। তার প্রেমিকার নাম ছিল হেলেন। হঠাৎ একদিন ওই প্রেমিকা তাকে ডেকে বলেন, কবি, তোমার সঙ্গে আমার জরুরি কথা আছে। প্রেমিকার ডাকে সাড়া দিয়ে প্রেমিকাসহ গিয়ে বসলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির সামনে। তখন প্রেমিকা জানান, তিনি বিয়ে করতে যাচ্ছেন। তার বাবা-মা তার বিয়ে ঠিক করেছেন।

ছোটবেলা থেকে হেলাল হাফিজ খুব সহনশীল ব্যক্তিত্বের ছিলেন। প্রচণ্ড সহ্যশক্তি ছিল তার। তাই ভেতরের ঝড় বুঝতে দিলেন না প্রেমিকা হেলেনকে। ওখান থেকে উঠে রিকশা নিয়ে সোজা হলে চলে গেলেন। ওটাই হেলেনের সঙ্গে কবির শেষ দেখা ও শেষ কথা ছিল।

সে ঘটনাই কবি হেলাল হাফিজকে চিরস্থায়ীভাবে সংসারবিমুখ করে ফেলে। তার আর ঘর হলো না, সংসারও হলো না।

কবি হেলাল হাফিজ সব সময় বলতেন, আমার জীবনে যারা আমাকে ভালোবেসেছেন, তাদের সবার প্রতি আমি আজীবন কৃতজ্ঞ। আর যারা আমাকে ভালোবাসেননি, তাদের প্রতি আরও বেশি কৃতজ্ঞতা। কারণ তাদের অবহেলা, অনাদর, প্রত্যাখ্যান আর ঘৃণাই আমাকে কবি বানিয়েছে।

‘যে জলে আগুন জ্বলে’ খ্যাত এ কবি শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) চলে গেছেন না ফেরার দেশে। রাজধানীর শাহবাগের আবাসস্থল হোস্টেলে মার মরদেহ পাওয়া যায়।

হেলাল হাফিজ দীর্ঘদিন ধরে গ্লুকোমায় আক্রান্ত ছিলেন। পাশাপাশি কিডনি জটিলতা, ডায়াবেটিস ও স্নায়ু জটিলতায় ভুগছিলেন। বাংলানিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়