শিরোনাম
◈ রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মধ্যরাতে জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ ট্রাম্পের ◈ যেসব উপকার পাবেন ডালিমের রস ও চিয়া সিড খেলে, যেবাবে তৈরি করবেন ◈ ‌‘সৌদি আরবে দক্ষ কর্মীর চাহিদা পূরণে কাজ করছে সরকার’ ◈ গুম ও হত্যার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের অপরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত ◈ গাছ কাটতে নিতে হবে অনুমতি: হাইকোর্টের রায় ◈ ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে নতুন ডন! ◈ ধর্মভিত্তিক দলগুলোকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের রশি টানাটানি কেন ◈ ফেব্রুয়ারিতে অবরোধ ও ‘কঠোর’ হরতাল ডেকেছে আওয়ামী লীগ ◈ তারেক রহমান ও ঢাবি প্রো-ভিসি ড. মামুন আহমেদের পুরোনো কথোপকথন ফাঁস (অডিও)

প্রকাশিত : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৪৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে নিজেকে করুন ‘কঠিন’ কিছু প্রশ্ন

প্রেমের ফাঁদ পাতা এই ভুবনে মানুষ অহরহ প্রেমে পড়ে; কখনও জেনেশুনে, কখনও নিজের অজান্তে। ভালোবাসার অনুভূতি ঠিক যতটাই সরল, ততটাই আবার জটিলও। মানুষের মনের অলিগলির থৈ পায়নি মানুষ নিজেই। কখন মন কার প্রেমে পড়ে সে নিজেও জানে না। তবে সব প্রেমের আবার পূর্ণতা পায় না। না কারণে বিচ্ছেদ ঘটে সম্পর্কে। এক সময় যাকে ছাড়া একদমই চলত না, সম্পর্ক শেষ হওয়ার পর সেই মানুষটির সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই থাকে না কোনো যোগাযোগ।

আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, এক সময়ের প্রেমিক প্রেমিকা পরবর্তী জীবনে ভালো বন্ধু হয়েছেন। ভেঙে যাওয়া প্রেম, তাদের বন্ধুত্ব নষ্ট করতে পারেনি।

অনেকের মনেই আবার প্রশ্ন থেকে যায়, পুরনো প্রেম এবং সেই প্রেমের যাবতীয় মানসিক বোঝা ভুলে কি সত্যিই দু’জন প্রাক্তন প্রেমিক এবং প্রেমিকা বন্ধু হতে পারেন? সেই বন্ধুত্বে কি কখনও পুরনো স্মৃতি চলে এসে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করবে না?

প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব নিয়ে সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ জোয়ি শাহ।

তার মতে, যার প্রতি একটা সময় রোম্যান্টিক আবেগ ছিল, তাতে হঠাৎ ইতি টানা অনেকটাই অবাস্তব!’

তবে প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবেন কি-না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে গভীরভাবে ভাবার পরামর্শ দিয়েছে জোয়ি শাহ।

এই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের মতে, যেকোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর আগে নিজে কী চাইছেন, কেন চাইছেন সেটা বোঝা জরুরি। নিজের চাহিদা সম্পর্কে সচেতন হয়ে তার পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া ভালো। তাই প্রাক্তনের সঙ্গে বন্ধুত্বে জড়ানোর আগে প্রথমেই নিজেকে কয়েকটি প্রশ্ন করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। আনন্দবাজার পত্রিকা অবলম্বনে চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে-

কেন বন্ধুত্ব চাইছেন?
যদি বিষয়টি এমন হয় যে, আপনারা প্রথমে বন্ধু ছিলেন, তার পরে প্রেম এসেছে এবং এখন মনে হচ্ছে বন্ধুত্বই ভালো ছিল; তবে সেটা একটা কারণ হতে পারে। অথবা যদি আপনাদের সন্তান থাকে এবং তাদের একসঙ্গে মানুষ করেন, তা হলেও বন্ধুত্ব হওয়া বা সুসম্পর্ক রাখার একটি কারণ থাকতে পারে। যদি ভালো বন্ধু হওয়াটাই একমাত্র উদ্দেশ্য হয়, তবে এ প্রশ্নের উত্তর দিতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু যদি দেখেন আপনার বন্ধুত্বের কারণ মানসিক নির্ভরতা বা প্রাক্তনকে ফিরে পাওয়ার আশা, তবে তা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়।

বিচ্ছেদের পরে যথেষ্ট সময় পেরিয়েছে কি?
প্রাক্তনের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার পর সেই আবেগ থেকে বেরিয়ে আসতে অনেক সময় লাগতে পারে। মাসের পর মাস কেটে গেলেও অনেকে তা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না। সেক্ষেত্রে পুরনো ক্ষত তাজা হতে সময় লাগবে না বেশি। বন্ধুত্ব করতে গিয়ে নিজের ক্ষতিই করে বসবেন আপনি। তাই নিজেকে সময় দিন। আগে দেখুন আপনি মানতে পেরেছেন কি-না যে, দু’জনের মধ্যে যে রোম্যান্টিক সম্পর্ক ছিল, তা শেষ হয়েছে। কারণ অতীতের খারাপ লাগা এবং উত্তর না পাওয়া প্রশ্ন মাথায় নিয়ে বন্ধুত্ব হবে না।

আপনি কি এখনও কষ্ট পাচ্ছেন?
সম্পর্ক কী ভবে শেষ হয়েছে, তার ওপরেও নির্ভর করবে আপনারা বন্ধু হতে পারবেন কি-না। যদি এমন কিছু ঘটে থাকে, যার ফলে আপনি কষ্ট পেয়েছেন, তবে কিন্তু যত সময়ই পেরিয়ে যাক না কেন, পুরনো আবেগ বোঝা হয়ে থেকে যাবে। যা সম্পর্ককে স্বাভাবিক হতে দেবে না।

বন্ধুত্বের সিদ্ধান্ত কি দু’পক্ষেরেই?
হয়তো আপনি চাইছেন বন্ধু হতে। কিুন্তু আপনার প্রাক্তন চাইছেন অস্বস্তি এড়াতে। দু’পক্ষেরই আগ্রহ না থাকলে বন্ধুত্ব জমবে না। এ ব্যাপারে দু’জনে খোলাখুলি কথা বলে নেওয়াই ভালো।

দু’জনের মধ্যে বন্ধু হওয়ার মতো মিল আছে কি?

প্রেম আর বন্ধুত্বের মধ্যে অনেক তফাৎ। প্রেমে অনেক সময় না বলা কথাও অনেক কিছু বলে যায়। দুই বন্ধুর মধ্যে কিন্তু কথা বলার মতো বিষয় থাকা দরকার। যদি না থাকে, তবে হয়তো দেখলেন, আপনারা নিজেদের পুরনো সম্পর্কের প্রসঙ্গেই ফিরে যাচ্ছেন কিংবা অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

তিনিই কি আপনার একমাত্র বন্ধু?
সম্পর্কে থাকাকালীন সমস্ত সমস্যা নিয়েই বিশেষ মানুষটির কাছে যেতেন। বন্ধুর ক্ষেত্রে ব্যাপারটা কিন্তু তেমন না-ও হতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো সময় তিনি আপনার সমস্যা শোনার জন্য না থাকলেও আপনি অন্য বন্ধুর কাছে যেতে পারবেন তো? এই ধরনের বন্ধুত্বে যাওয়ার আগে দেখে নিন আপনার আরও যথেষ্ট বন্ধু রয়েছে কি-না।

যদি প্রাক্তন নতুন সম্পর্কে যান বন্ধুত্ব রাখতে অসুবিধা হবে না তো?
দু’জনেই যখন একা তখন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু কোনো না কোনো সময় আপনার প্রাক্তনের অন্য সম্পর্ক হতে পারে। নিজেকে প্রশ্ন করে দেখুন, নিজের প্রাক্তনের নতুন সম্পর্কে তার পাশে দাঁড়াতে পারবেন তো?

আপনার বর্তমান সঙ্গী এই বন্ধুত্বকে কীভাবে দেখবেন?
আপনার বর্তমান সঙ্গী আপনাদের এই বন্ধুত্বকে কীভাবে দেখবেন, সেটাও ভেবে দেখা জরুরি। আপনার বর্তমান সঙ্গী আপনাদের কথোপকথন জানলে তাতে আপনার কোনো অসুবিধা হবে কি? সেটাও বোঝা জরুরি।

সম্পর্ক আগের মতো হবে না, মানতে পারবেন তো?
প্রাক্তনের সঙ্গে সুস্থ বন্ধুত্ব বজায় রাখতে হলে প্রথমে সম্পর্কের বদলে যাওয়াটা মেনে নিতে হবে। একা দেখা করা বা রাতে ভিডিও কলে কথা বলার থেকে বন্ধুদের দল একসঙ্গে থাকাটা অনেক বেশি উপযুক্ত হবে এক্ষেত্রে।

সীমারেখা টানতে হবে
কোথায় থামতে হবে জানতে হবে। যাতে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝি তৈরি না হয়। ভুললে চলবে না যে, সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। নিজেকে প্রশ্ন করুন সেই সীমারেখাটা টানতে পারবেন তো? হয়তো ঠিক করলেন, আপনারা কখনও একা দেখা করবেন না। সেক্ষেত্রে একা যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হলে সেখান থেকে নিজেকে সরাতে পারবেন তো?

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়