নিত্যদিনের খরচ বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই হয়তো খরচের লাগাম টেনে ধরার কথা ভাবছেন। কিন্তু কিছুতেই ব্যয়টাকে কমাতে পারছেন না। বাসা ভাড়া, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল, বাজার খরচ- সবমিলিয়ে যেন নাজেহাল অবস্থা। তবে দুর্দিনের কথা মাথায় রেখে সাশ্রয়ী হওয়ার চেষ্টা করাটা অবশ্যই বুদ্ধিমানের কাজ।
তাই চলুন এমন কিছু উপায় জেনে নেওয়া যাক যেভাবে আপনি হয়ে ওঠতে পারেন সাশ্রয়ী।
সুস্থা থাকা: বর্তমান সময়ে চতুর্দিক থেকে অসুখ আমাদের একদম জেঁকে বসেছে। তাই শরীর সুস্থ রাখতে নিয়মিত হাঁটা, ফ্রি হ্যান্ড ব্যায়াম করা, বন্ধুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে পারেন। এতে শরীর সুস্থ থাকার পাশাপাশি মনমেজাজও ফুরফুরে থাকবে। সু্স্থ থাকার জন্য জিমে না গিয়ে বাড়িতে বসেই শরীরচর্চা করতে পারেন। সুস্থ থাকলে বিকিৎসক বা ওষুধের পেছনেও অনেকটা খরচ কমে যাবে।
অপ্রয়োজনীয় ব্যয় বাদ দেওয়া: প্রতিমাসে কোন খাতে কত খরচ হচ্ছে তা কোথাও লিখে রাখা বা নোট করে রাখা। শখের জিনিসগুলোতে ব্যয় না করে যতটুকু সম্ভব টাকা জমিয়ে রাখার চেষ্টা করা। যে খরচ না করলেও বা তা কিছুদিন পরে করলে যদি একই পরিমাণ ফল পাওয়া যায়, তাহলে তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া।
পুষ্টিগুণ জেনে খাবার খাওয়া: অনেকেই ফাস্ট ফুড বা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ করে ফেলেন। ফাস্ট ফুডগুলোতে পুষ্টিগুণ খুবই কম পরিমাণে থাকে। উল্টো এগুলো খেলে শরীরে আরও নানা অসুখের দেখা দেয়। তাই খরচ কমাতে না খেয়ে থাকতে হবে এমন নয়, বরং জানতে হবে খাবারের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। সাশ্রয়ী খাবারে কীভাবে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ করা যায়, তা জানার চেষ্টা করা। সুপারশপে বাজার করার চাইতে কাঁচাবাজার থেকে প্রয়োজনীয় সবজি ক্রয় করলে ব্যয় তুলনামূলক কম হয়।
বিনোদনের জন্য ব্যয় কমানো: মানুষ তার আত্মিক প্রশান্তির জন্য কিছু আনন্দময় কাজ করে থাকে। অনেক সময় এসব ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় অনেক খরচ হয়। তাই বন্ধুদের সঙ্গে বাইরে আড্ডা না দিয়ে বরং বই বিনিময় করে পড়া, কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলে নিজের সৃজনশীলতাকে কাজে লাগানো যেতে পারে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়: বর্তমানে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতেই যেন আয়ের অনেকটা দিয়ে দিতে হয়। তাই বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে বিনা প্রয়োজনে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম না চালিয়ে রাখা, বরং প্রয়োজন ছাড়া প্লাগ খুলে রাখতে পারেন। ঘুম থেকে ভোরবেলা উঠে পড়া। এছাড়াও প্রয়োজনীয় কাজ দিনের আলোয় সেরে ফেলা, রাত জেগে টেলিভিশন-মোবাইল ফোন না চালানো, গেজেট নির্ভরতা কমাতেপ পারেন।
আপনার মতামত লিখুন :