শিরোনাম
◈ নিজেদের মাঠে পাকিস্তানের কাছে ৯ উইকেটে হারলো অস্ট্রেলিয়া ◈ পিনাকী ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্যারিসে উপদেষ্টা আসিফ ◈ দেশবাসীর প্রতি মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারির আহ্বান ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতায় তিন মাস ◈ বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নানা মন্তব্য ◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান ◈ ‘আসিফ নজরুলের সঙ্গে আ. লীগ নেতাকর্মীদের আচরণ দেশের আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত’ : তারেক রহমানের বিবৃতি ◈ কী হয়েছিল জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে? ভিডিও ◈ হিলি স্থলবন্দরে একদিনেই এলো ১৮০০ মেট্রিক টন আলু, কিছুটা কমেছে দাম ◈ এমবাপ্পেকে ছাড়াই নেশন্স লিগের জন্য দল ঘোষণা করলো ফ্রান্স

প্রকাশিত : ০২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:৪৪ দুপুর
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কেন শীতকালই বিয়ের জন্য বেশি উপযুক্ত? জেনে নিন শীতে বিয়ের ৭টি সুবিধা

শীত মানেই বিয়ের মৌসুম। বছরের অন্যান্য সময়ের তুলনায় শীতেই অধিকাংশ মানুষ বিয়ের পরিকল্পনা করেন। কিন্তু কেন শীতকালই বিয়ের জন্য বেশি উপযুক্ত? আর এই সময়ে বিয়ে করলে বাড়তি কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?
 
শীতে বিয়ের আয়োজন করা হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পাওয়া যায়। এক নজরে দেখে নিন শীতে বিয়ের ৭টি সুবিধা-

লম্বা ছুটি: বেশিরভাগ স্কুলে নভেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা শেষ হয়ে যায়। অতএব ছেলে-মেয়েদের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে ডিসেম্বরে স্কুল বন্ধ থাকে। এসময় তাদের সঙ্গে ছুটি মিলিয়ে বড়রাও সহজে বেড়াতে যেতে পারেন। এ সুযোগেই সব আত্মীয়স্বজন একত্রিত হতে পারেন। বছরের অন্যান্য সময় সবাইকে একত্রে পাওয়া অতটা সহজ নয়। তাই বিয়ের জন্য বেশিরভাগ মানুষ শীতকালই বেছে নেন।

সাজগোজে স্বস্তি: বিয়েতে বর-বউ দুজনকেই সাজতে হয়। বরের সাজ নিয়ে খুব বেশি চিন্তা না থাকলেও বিয়ের সাজে কনে দেখতে কেমন হবে তা নিয়ে সবার আগ্রহ থাকে। আর তাইতো মনের মতো করে সাজতে চান প্রত্যেক কনেই। শীত বাদে বাকি সময়টায় মেকআপ লাগিয়ে সাজলে মুশকিল। একটু বেশি ঘামলেই গলে গলে পড়ে সব সাজ। তাই কনের সাজ হোক বা বরের, শীতকালে বিয়ে হলে যত খুশি সাজুন, নষ্ট হওয়ার এতটুকু ভয় নেই। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মনমতো।

ডেকোরেশন: বিয়েতে ফুল ছাড়া আবার ডেকোরেশন হয় নাকি? পারফেক্ট ডেকোরেশনের জন্য ফুল চাই চাই। শীতকালে সব ধরনের ফুল সহজলভ্য। ফুলের সহজলভ্যতা বিয়ের উৎসবকে আরও বেশি জমকালো এবং অভিজাত করে তোলে। ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই সব ধরনের ফুলের দামও কমে যায় অনেক।

কম পরিশ্রম: দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেলসহ কত কাজই না করতে হয় বিয়েতে! এই কাজগুলো সবাই মিলে হাত লাগিয়ে সারতে হয়। রাত জাগা, প্রভৃতি উৎপাতে অনেক এনার্জি খরচ হয়। গরমের দিনে একটু পরিশ্রম করলেই হাঁপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই ভয় কমে যায়। বরং কাজ করলে শীতের অনুভূতিটা কম হয়। সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাজ করে দিতে আগ্রহী থাকে এই সময়। তাই বিয়ের জন্য শীতই পারফেক্ট মৌসুম।

ভরপুর খাওয়া-দাওয়া: পোলাও, বিরিয়ানি, রোস্ট, রেজালা, মাংসের চপ, বেগুনি বিয়ের অনুষ্ঠানে এগুলো একেবারে কমন আইটেম। কিন্তু গরমের সময় খেতে হয় রয়ে-সয়ে। খাবারে একটু এদিক-সেদিক হলেই পেটের ভেতর অস্থিরতা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু শীতকালে বিয়ে হলে সেই চিন্তা খুবই কম থাকে। এমনিতেই নানা পিঠাপুলি পেট ভরে খাওয়া হয়, পাশাপাশি দাওয়াতও খাওয়া যায় একেবারে কবজি ডুবিয়ে। শীতকালে খাবার সংরক্ষণের কোনো চাপ বা টেনশন থাকে না।

বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়:  শীতকালে ফ্যান চালাতে হয় না। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল একেবারেই কম হবে। অতিথি অভ্যাগতদের যত্নে সুবিধা হয়, সঙ্গে সাশ্রয়ও।

জম্পেশ হানিমুন: ভালো-মন্দ মিলিয়ে শীতের সময়টা ঘোরাঘুরির জন্য একেবারে পারফেক্ট। নবদম্পতির জন্য একসাথে ছুটি কাটানোর অর্থাৎ হানিমুনের জন্য সবথেকে ভালো সময় এটি। শীতকালে বিয়ে এবং এর পরে হানিমুনে ঘোরাঘুরিটা জমে বেশ। পরস্পরের পাশাপাশি থেকে উষ্ণতাও ভাগাভাগি করা যায়, সেই সুযোগে সঙ্গীকে চিনে নেয়া যায়, জেনে নেয়া যায়। আবার হোটেলসহ সব জায়গায় কাপল প্যাকেজ থাকায় নব-বিবাহিতরা অনেক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই বিয়ে এবং হানিমুনের জন্য শীতের সময়টাই উপযুক্ত।

সব মিলিয়ে শতি ঋতু বিয়ের জন্য বেশ উপযোগী। যে কারণে প্রতি বছর শীতে একটা বিয়ের হিড়িক পড়ে। মূলত ঋতুর সাথে বিয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। তবে স্বস্তির হিসাব করায় শীতে বেশি বিয়ে হয়। উৎস: সময়নিউজটিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়