শিরোনাম
◈ দেশবাসীর প্রতি মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারির আহ্বান ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতায় তিন মাস ◈ বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলে নানা মন্তব্য ◈ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না : তারেক রহমান ◈ ‘আসিফ নজরুলের সঙ্গে আ. লীগ নেতাকর্মীদের আচরণ দেশের আত্মমর্যাদার ওপর আঘাত’ : তারেক রহমানের বিবৃতি ◈ কী হয়েছিল জেনেভা বিমানবন্দরে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের সঙ্গে? ভিডিও ◈ হিলি স্থলবন্দরে একদিনেই এলো ১৮০০ মেট্রিক টন আলু, কিছুটা কমেছে দাম ◈ এমবাপ্পেকে ছাড়াই নেশন্স লিগের জন্য দল ঘোষণা করলো ফ্রান্স ◈ তৃণমূল থেকে ক্রিকেটার বের করার লক্ষ্যে জিয়া টুর্নামেন্ট সোমবার শুরু ◈ ইংলিশ ক্রিকেটার অ্যান্ডারসক কেন ৪২ বছর বয়সে আইপিএলে নাম দিলেন?

প্রকাশিত : ৩০ অক্টোবর, ২০২৪, ০২:০৫ দুপুর
আপডেট : ০৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিজের অজান্তেই এই ১০ অভ্যাসে গরিব হয়ে যাচ্ছেন না তো?

আধুনিক জীবনে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অনেকের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা অনেক সময় নিজেদের অজান্তেই কিছু অভ্যাসের মাধ্যমে গরিব হয়ে যাচ্ছি। নিচে উল্লেখ করা হলো ১০টি অভ্যাস, যেগুলি আপনার আর্থিক পরিস্থিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

১. অপ্রয়োজনীয় খরচ করা: প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ছোটখাটো খরচ যেমন কফি, স্ন্যাকস বা অনলাইনে কেনাকাটা আপনার বাজেটকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। পরিকল্পিত খরচে নজর দেওয়া জরুরি।

২. ঋণের বোঝা: অতি সহজে ঋণ নিয়ে নেওয়া এবং তা পরিশোধে অযোগ্য হওয়া। এই অভ্যাস আপনার মাসিক বাজেটে চাপ সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনার অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করে।

৩. সঞ্চয়ের অভাব: সঞ্চয় করা না হলে আপনার ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে। মাস শেষে যদি সঞ্চয় করার সুযোগ না থাকে, তবে এটি অজান্তেই আপনার গরিব হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ায়।

৪. বিনিয়োগের অভাব: বিনিয়োগের মাধ্যমে অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া যায়। কিন্তু যদি আপনি সঠিকভাবে বিনিয়োগ না করেন, তবে আপনার অর্থের মূল্য হ্রাস পেতে পারে।

৫. বাজেটের অভাব: অর্থ খরচের জন্য একটি পরিকল্পনা বা বাজেট তৈরি না করা। এটি আপনার খরচের প্রতি অসচেতনতা তৈরি করে, যা পরে গরিব হওয়ার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

৬. অত্যধিক বিলাসী জীবনযাপন: সামাজিক পরিবেশের প্রভাব বা বন্ধুদের সাথে প্রতিযোগিতামূলক জীবনযাপন আপনার অর্থনৈতিক অবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এটি আপনার বাজেটের বাইরের খরচ বাড়াতে পারে।

৭. অস্থায়ী উপায়ে খরচ: উচ্চ মূল্যবান জিনিসপত্র কেনার জন্য অস্থায়ী উপায়ে অর্থ খরচ করা। যেমন: ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে বিল পরিশোধ করা। এটি আপনার ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অবস্থা বিপর্যস্ত করে।

৮. চিকিৎসা খরচে অদক্ষতা: স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে অবহেলা করা। অসুস্থতা বা দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে চিকিৎসা খরচ আপনার বাজেটের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

৯. অপ্রয়োজনীয় সদস্যপদ: বিভিন্ন ক্লাব বা সদস্যপদ নেওয়া, যা আপনার কাজে আসে না। এটি আপনার মাসিক খরচকে বৃদ্ধি করে এবং আর্থিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে।

১০. অর্থনৈতিক শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব: অর্থ ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের মৌলিক ধারণা না জানা। এই অভাব আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে অক্ষম করে এবং অবশেষে আপনার গরিব হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

নিজের অজান্তেই গরিব হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা, কিন্তু সচেতনতার মাধ্যমে এটি এড়ানো সম্ভব। আপনার অভ্যাসগুলি পুনর্মূল্যায়ন করুন এবং সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করুন। অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য এই ১০ অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে। সচেতনভাবে আপনার খরচ, সঞ্চয় এবং বিনিয়োগের দিকে নজর দিলে, আপনি আরও সচ্ছল জীবনযাপন করতে পারবেন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়