ঈদের নামাজ দুই রাকাত। নিয়ত করে তাকবিরে তাহরীমা বলে নামাজ শুরু করে ছানা পড়বে। ছানা পড়ার পর ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহু আকবার’ বলে আরো তিনটি তাকবির বলবে।
প্রথম দুই তাকবির বলার সময় উভয় হাত কানের লতি পর্যন্ত উঠিয়ে হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবে। তৃতীয় তাকবির বলার সময় কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে বেঁধে নেবে। অতঃপর সূরা-কেরাত পড়ে রুকুতে যাবে।
দ্বিতীয় রাকাতে দাঁড়িয়ে সূরা-কেরাত পড়ে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে আগের নিয়মে তিনটি তাকবির বলবে। তবে দ্বিতীয় রাকাতে তৃতীয় তাকবির বলার সময়ও হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবে।
অতঃপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকু করবে। এরপর অন্যান্য নামাজের ন্যায় যথারীতি নামাজ শেষ করবে। -কিতাবুল আছল ১/৩১৯; আলহাবীল কুদসী ১/২৪৩
ঈদের নামাজের কেরাত
ঈদের নামাজে প্রথম রাকাতে ‘সূরা আ‘লা’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘সূরা গাশিয়াহ’ বা প্রথম রাকাতে ‘সূরা কফ’ এবং দ্বিতীয় রাকাতে ‘সূরা কমার’ পড়া সুন্নত।
হাদিস শরীফে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাজে এ সূরাগুলো পড়তেন। তবে অন্য যে কোনো সূরাও পড়া যেতে পারে।
-সহীহ মুসলিম, হাদিস ৮৭৮; সুনানে নাসায়ী, হাদিস ১৫৬৭; কিতাবুল আছল ১/৩২১; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৫০০
জুমার নামাজের ন্যায় ঈদের নামাজের কেরাতও উচ্চৈঃস্বরে পড়া ওয়াজিব। আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদ ও ইস্তেসকার নামাজে কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়তেন। (সুনানে দারাকুতনী, হাদিস ১৮০৩) -জামে সগীর, পৃ. ১১৪
তাই ইমাম উভয় রাকাতেই কেরাত উচ্চৈঃস্বরে পড়বেন।
ঈদের দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর তাকবির
ঈদের দ্বিতীয় রাকাতে রুকুর তাকবিরও অন্যান্য নামাজের রুকুর তাকবিরের মতো সুন্নত। সূত্র: যুগান্তর