শিরোনাম
◈ গণপরিষদের মাধ্যমেই সংবিধান সংস্কার করতে হবে: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ ব্যাংক না দিলেও খোলাবাজারে চড়া দামে নতুন টাকা ◈ নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস না পাওয়ায় দুরবস্থায় শিল্পকারখানা ◈ দ্রুত নির্বাচন করা, সাথে সংস্কারটা যত দ্রুত করা যায় সে কথাই বলেছি: মির্জা ফখরুল  ◈ সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে এক দিন ছুটি ঘোষণা ◈ বাংলাদেশ যে সংকটময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে পাশে থাকবে জাতিসংঘ: আন্তোনিও গুতেরেস ◈ পাকিস্তান থেকে এল ২৬ হাজার টন চাল ◈ আস্থাহীনতায় রাজনৈতিক দলগুলোর দূরত্ব বাড়ছে! ◈ রাজশাহীতে র‌্যাবের অভিযানে ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার ◈ ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তবর্তী উপজেলা গুলোতে অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম!

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৩:৩২ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোজা পূর্ণতা পায় যেসকল আমলে

রহমত, মাগফিরাত ও নামাজের মাস পবিত্র মাহে রমজান। প্রতিটি মুমিনের উচিত, এ মাসের ইবাদতকে বিশেষ ভাবে গুরুত্ব দেওয়া। রোজার মহিমা ক্ষুণ্নকারী সব ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা। সর্বদা আল্লাহর সাহায্য চাওয়া। রোজাকে পরিপূর্ণ অর্থবহ করে তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করা। 

নিম্নে রোজাকে পরিপূর্ণ ও অর্থবহ করে তোলার কিছু আমল তুলে ধরা হলো;

সাহরি খাওয়া: পবিত্র রমজানে সাহরি খাওয়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল। এতে মহান আল্লাহ অফুরন্ত বরকত রেখেছেন। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সাহরি খাও, কারণ এতে বরকত রয়েছে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯২৩)

তা ছাড়া সাহরি খাওয়ার মধ্যে দিনের বেলা রোজা রাখা আরেকটু সহজ হয়। তাই নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘ তোমরা সাহরি খাওয়ার মাধ্যমে দিনের রোজা এবং দিনে বিশ্রামের মাধ্যমে রাতের নামাজের জন্য সাহায্য নাও।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৬৯৩)

যতটা সম্ভব সাহরি দেরিতে করা উত্তম, যাতে ক্ষুধা ও তৃষ্ণা কম অনুভূত হয়। তবে সুবহে সাদিকের কিছুক্ষণ আগে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করা উচিত, যাতে সন্দেহের মধ্যে না পড়তে হয়।

সূর্যাস্ত নিশ্চিত হয়ে দ্রুত ইফতার করা: রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘লোকেরা যতদিন ইফতার দ্রুত করবে ততদিন তারা কল্যাণের ওপর থাকবে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৯৫৭)
ফজরের আগে গোসল করে পবিত্র হও: রমজানের রাতে কারো ওপর গোসল ফরজ হয়ে গেলে ফজরের আগে গোসল করে পবিত্র হয়ে নেওয়া, যেন ইবাদত শুদ্ধভাবে আদায় করা যায়।

অধিক পরিমাণে কোরআন তিলাওয়াত করা: জিবরাইল (আ.) প্রতি রাতে নবী (সা.)-এর সঙ্গে কোরআন চর্চা করতেন। হাদিস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ দানশীল। রমজানে তিনি আরো অধিক দানশীল হতেন, যখন জিবরীল (আ.) তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত্ করতেন। আর রমজানের প্রতি রাতেই জিবরাঈল (আ.) তাঁর সঙ্গে দেখা করতেন এবং তারা একে অপরকে কোরআন তিলাওয়াত করে শোনাতেন। নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসুল (সা.) রহমতের বায়ু অপেক্ষাও অধিক দানশীল ছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৬)

তাই আমাদেরও কোরআন অধ্যয়ন ও আমলে মনোযোগী হওয়া উচিত।

রাত জেগে ইবাদত করা : রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রাত জেগে ইবাদত করে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (বুখারি, হাদিস : ৩৭)

মিথ্যা, গিবত, পরনিন্দা ও মিথ্যা সাক্ষ্য থেকে বিরত থাকা: আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মিথ্যা বলা ও সে অনুযায়ী আমল বর্জন করেনি, তাঁর এ পানাহার পরিত্যাগ করায় আল্লাহর কোনো প্রয়োজন নেই। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৩)

রাগান্বিত না হওয়া: রোজা মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণ শেখানোর জন্য। তাই রোজা অবস্থায় রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কেউ অপ্রীতিকর আচরণ করলে ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল (সা.) বলেছেন, সিয়াম ঢাল স্বরূপ। সুতরাং অশ্লীলতা করবে না এবং মূর্খের মত কাজ করবে না। যদি কেউ তার সাথে ঝগড়া করতে চায়, তাকে গালি দেয়, তবে সে যেন দুই বার বলে, আমি সওম পালন করছি। (বুখারি, হাদিস : ১৮৯৪)

তাকওয়া অর্জন করা: কারণ রোজার মূল উদ্দেশ্যই হলো, তাকওয়া অর্জন করা। আল্লাহ বলেছেন, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৩)

রমজানের শিক্ষা সারাবছর ধরে রাখা: রোজার প্রকৃত উদ্দেশ্য শুধু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সংযম অনুশীলন করা নয়, বরং তাকওয়া ও আত্মনিয়ন্ত্রণের গুণ অর্জন করা, যা সারা বছর তা কাজে লাগানো।

সব ধরনের কুপ্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখা: জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রা.) বলেছেন, ‘যখন তুমি রোজা রাখবে, তখন তোমার কান, চোখ ও জিহ্বা সবকিছু যেন মিথ্যা ও গুনাহ থেকে রোজা রাখে।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাঈবা : ৪/৮)

হালাল রিজিক আহার করা: হারাম থেকে বিরত থাকা সবসময়ই জরুরি, তবে রমজানে এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ। রোজা রেখে হারাম উপার্জনের খাবারে ইফতার করা অর্থহীন।

দান-সদকা করা: রাসুল (সা.) সর্বদা দানশীল ছিলেন, তবে রমজানে তিনি আরও বেশি উদারতা দেখাতেন। (বুখারি, হাদিস : ৬)
ইফতারের সময় দোয়া করো: কারণ মহান আল্লাহ রোজাদারের দোয়া ফিরিয়ে দেন না। 

মহান আল্লাহ উল্লিখিত আমলগুলোর মাধ্যমে আমাদের রোজাকে আরো প্রাণবন্ত ও অর্থবহ করে তোলার তাওফিক দান করুন। আমিন। উৎস: নিউজ২৪

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়