শিরোনাম
◈ ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি? ◈ নওফেল, বিপ্লবকে ১০ কোটি টাকায় পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! ◈ তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ◈ ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত আদানির কাছে মার্কিন সমন পৌঁছে দেবে ভারত ◈ ট্রুডোর পদত্যাগ, শপথ নিলেন মার্ক কার্নি ◈ সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম! ◈ একই বছরে আসবে দুইবার রমজান, তিনবার ঈদ! ◈ ওসি বদলির খবরে থানায় পাওনাদারের ভিড়! ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈ রাজধানীর তুরাগ থেকে হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য সানাউল্লাহ গ্রেফতার 

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৪:৫৩ সকাল
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সৌদি আরবের হঠাৎ সিদ্ধান্তে হাজারো ওমরাহযাত্রী  বিপাকে

কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই আসন্ন হজের প্রস্তুতির জন্য সৌদি আরব ওমরাহ ভিসার কোটা প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়েছে। এতে একেবারে কমে গেছে ওমরাহর ভিসা ইস্যুর সংখ্যা। ওমরাহযাত্রীদের চাহিদা অনুযায়ী সৌদি এজেন্সিগুলো (ওমরাহ কম্পানি) ওমরাহর ভিসা ইস্যু করতে পারছে না। এতে অপেক্ষমাণ হাজার হাজার বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রী বিপাকে পড়েছে। খবর: কালের কণ্ঠ।

সৌদি আরবের সিদ্ধান্তে বিপাকে হাজারো ওমরাহযাত্রী এদিকে এয়ারলাইনসগুলো ফেরত দিচ্ছে না অগ্রিম টিকিটের টাকা। ফলে লাখ লাখ টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে এজেন্সি মালিক-ওমরাহযাত্রীদের। এমন পরিস্থিতিতে আগের মতো ওমরাহর ভিসা ইস্যু করতে রাজকীয় সৌদি আরব সরকারের আশু হস্তক্ষেপ চেয়েছে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাব। পাশাপাশি সৌদি সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

উল্লিখিত বিষয়ের সত্যতা নিশ্চিত করে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘এটি সৌদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিষয়, এখানে বাংলাদেশের কোনো হাত নেই। টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে সৌদি দূতাবাসের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হচ্ছে। আমরা সৌদি সরকারকে অবহিত করব।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিবছর পবিত্র রমজানে ওমরাহযাত্রীর চাপ বেড়ে যায়।

এবার অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমানের ইচ্ছা পবিত্র মাহে রমজানে তারা পবিত্র ওমরাহ পালন করবে। সেই অনুযায়ী হাজার হাজার ওমরাহযাত্রী এজেন্সিগুলোর মাধ্যমে টিকিট বুকিং দিয়ে রেখেছে। সাধারণত রমজানের ২৫ থেকে ৩০ তারিখের মধ্যে ওমরাহর ভিসা বন্ধ রাখে সৌদি সরকার। এবার কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই গত ৪ মার্চ থেকে ওমরাহর ভিসা প্রায় ৯০ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে সৌদি সরকার। ওই দিন থেকে সৌদির ‘নুসুক’ সিস্টেমে কাঙ্ক্ষিত ওমরাহযাত্রীর ভিসা (মোফা) মিলছে না।

নুসুক সিস্টেমে ওমরাহযাত্রীর মোফা ইস্যু করতে সার্ভারে ঢুকলেই দেখাচ্ছে বাংলাদেশি দৈনিক ওমরাহযাত্রীর কোটা শেষ। এতে ওমরাহযাত্রীরা হতাশ।

পবিত্র রমজানে মক্কা-মদিনায় ইতিকাফ ও ইবাদত বন্দেগির জন্য যেসব নারী-পুরুষ ওমরাহ পালনে যাওয়ার নিয়ত করেছিল, তারা এখন উদ্বিগ্ন। এমনকি বিমানের টিকিটের টাকাও রিফান্ড করছে না সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনসগুলো। এ নিয়ে ওমরাহযাত্রী ও এজেন্সি মালিকদের মধ্যে চলছে তুলকালাম কাণ্ড। ভিসা না হওয়ায় এজেন্সি মালিকদের অফিস ও বাসায় রীতিমতো হানা দিচ্ছে বিপাকে পড়া যাত্রীরা। অনেকে টাকা ফেরত পেতে এজেন্সি মালিকদের বাসাবাড়িতে হামলাও করছে।

বিষয়টি নিয়ে এজেন্সি মালিকদের সংগঠন হাবও দিশাহারা। সংগঠনটি গত বুধবার তাদের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা-সচিব ও বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। প্রয়োজনে তাঁরা সৌদি সরকারের হস্তক্ষেপ চান বলে কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব ফরিদ আহমেদ মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘সৌদি সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি বিপদে আছি আমরা এজেন্সি মালিকরা। কারণ এ সিদ্ধান্তে আমাদের কোনো হাত না থাকলেও ওমরাহযাত্রীরা মনে করছে, এজেন্সির ভুলের কারণেই ভিসা হচ্ছে না। অন্যদিকে এয়ারলাইনসগুলোও তাদের টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। কিন্তু ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হলে পকেট থেকে ভর্তুকি হলেও দিতে হবে। ফলে ব্যবসায় লাভ তো  দূরের কথা, পুঁজি হারিয়ে রাস্তায় নামার জোগাড় হবে।’

আলফু-জোনায়েদ হজ ট্রাভেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু বকর সিদ্দিক গতকাল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার এজেন্সির ৩০ জন ওমরাহযাত্রীর আগামী ১৬ মার্চ সৌদিতে যাওয়ার কথা। সে অনুযায়ী আমি তাদের বিমানভাড়াসহ বাড়িভাড়া ও ভিসা বাবদ ৪২ লাখ টাকা খরচ করেছি। এখন ভিসা না পাওয়ায় তারা আমাকেই দায়ী করছে। তারা টকা ফেরত চাচ্ছে, অথচ এয়ারলাইনসগুলো টিকিটের টাকা ফেরত দিচ্ছে না। ব্যবসার গুডইউল ধরে রাখতে হলে তাদের টাকা আমাকে ফেরত দিতে হবে। নইলে আমার অফিস-বাসাবাড়ি কিছুই রাখবে না তারা। বড়ই বিপদে আছি।’

টিকিটের টাকা কেন ফেরত দেওয়া হচ্ছে না, জানতে সাউদিয়ার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) আবু আহমেদ শুভর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেদকের পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হলেও সাড়া মেলেনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে এযাবত্ প্রায় দুই লাখ বাংলাদেশি ওমরাহযাত্রী ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছে। তাদের ওপেন পলিসির কারণে পবিত্র রমজানে ধারণক্ষমতার বাইরে কয়েক লাখ লোক মক্কায় প্রবেশ করেছে। মক্কায় ভিড় কমানো বা স্থান সংকুলানের জন্য মোফা ইস্যুর বিষয়টি হ্রাস করা হয়েছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়