শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০২৫, ০২:১২ দুপুর
আপডেট : ১৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রোজার বিধান এক হলেও ধরনে ছিল ভিন্নতা, পূর্ববর্তী নবী-রাসুলরা যেভাবে রোজা রাখতেন

রায়হান আল ইমরান: হিজরি বর্ষের নবম মাস রমজান। রমজান সব মাসের শ্রেষ্ঠ। ইসলামের অন্যতম বিধান রোজা এ মাসে পালিত হয়। রোজার বিধান শুধু নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপরই ফরজ হয়নি, বরং এর সূচনা হয় পূর্ববর্তী নবীদের সময় থেকে।

কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে মুমিনরা, তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনটি তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ওপর ফরজ করা হয়েছিল।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ১৮৩)

তবে রোজার বিধান এক হলেও ধরনে ছিল ভিন্নতা। নিম্নে পূর্ববর্তী নবীদের রোজার ধরন তুলে ধরা হলো—

১. আদম (আ.)-এর রোজা : আদম (আ.) পৃথিবীর প্রথম মানব ও প্রথম নবী। তিনিই প্রথম রোজা পালন করেন।

তাঁর রোজা কেমন ছিল সে ব্যাপারে কোরআন, হাদিস ও ইতিহাস থেকে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় না। তবে তিনি যে রোজা রেখেছিলেন তা জানা যায়। আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-কে একটি নিষিদ্ধ গাছের ফল খেতে নিষেধ করেন। কিন্তু তিনি সেই গাছের ফল আহার করে ফেলেন।

পরক্ষণেই আল্লাহ তাঁকে সতর্ক করেন এবং পৃথিবীতে নামিয়ে দেন। এদিকে নিষিদ্ধ গাছের ফল দেহের রং পাল্টে দেয়; দেহ কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। বিষয়টি আদম (আ.)-কে বিচলিত করে। তখন আল্লাহ তাআলা জিবরাইল (আ.)-কে প্রেরণ করেন। 
জিবরাইল (আ.) বললেন, আপনি কি চান আপনার দেহ শুভ্রতা ফিরে পাক? তিনি বললেন, হ্যাঁ।

জিবরাইল (আ.) বললেন, তাহলে প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখুন। তিনি রোজা রাখা শুরু করলে প্রথম দিনে শরীরের এক-তৃতীয়াংশ শুভ্র হয়ে যায়, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন একই পরিমাণ শুভ্রতা ফিরে পায়। তখন থেকেই তিনি এ রোজা রাখতে শুরু করেন। এ রোজার নাম রাখা হয় ‘আইয়ামে বিজ’। (ফতহুল বারি : ৪/১২৩)
২. নুহ (আ.)-এর রোজা : তিনি ছিলেন প্রথম রাসুল তথা শরিয়তপ্রাপ্ত প্রথম নবী। তাঁর নামেই কোরআনে অবতীর্ণ হয়েছে সুরা নুহ। নুহ (আ.)-এর ব্যাপারে হাদিসে পাওয়া যায়, তিনি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিন ছাড়া সারা বছরই রোজা রাখতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭১৪)

৩. ইবরাহিম (আ.)-এর রোজা : শেষ নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর পূর্বপুরুষ হলেন ইবরাহিম (আ.)। যার বংশ থেকে অসংখ্য নবী-রাসুল এসেছেন। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ইবরাহিম (আ.)-ও প্রতি মাসে তিনটি রোজা রাখতেন। এ ব্যাপারে তিনি আদম (আ.)-এর অনুসরণ করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ)

৪. দাউদ (আ.)-এর রোজা : দাউদ (আ.) ছিলেন একজন নবী ও ন্যায়পরায়ণ শাসক। কোরআনে যাকে আল্লাহর প্রতিনিধি বলা হয়েছে। তাঁর ওপর অবতীর্ণ হয়েছিল আসমানি কিতাব জাবুর। তাঁর রোজার প্রশংসা করে নবীজি (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলার নিকট অধিকতর প্রিয় রোজা হচ্ছে দাউদ (আ.)-এর রোজা। তিনি এক দিন রোজা রাখতেন এবং এক দিন রোজা রাখতেন না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৩৪২০)

৫. সুলাইমান (আ.)-এর রোজা : নবী সুলাইমান (আ.) প্রতি মাসে ৯টি করে রোজা রাখতেন। মাসের প্রথম দশকে তিনটি, মাঝের দশকে তিনটি ও শেষ দশকে তিনটি। (কানজুল উম্মাল, হাদিস : ২৪৬২৪)

৬. ঈসা (আ.)-এর রোজা : আল্লাহ তাআলা তাঁকে অনেক মুজিজা প্রদান করেছেন। তিনি নিজে বিভিন্ন জিনিস আহার করা থেকে বিরত থাকতেন। যেমন—মাছ ব্যতীত পাখি, গোশত ও প্রাণ আছে এমন সব প্রাণী। আর এটাই ছিল তাঁর রোজা। (তাফসিরে তাবারি : ৩/৪১১) উৎস: কালের কণ্ঠ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়