মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন তার ইবাদতের জন্য। তিনি বান্দার আমল পছন্দ করেন। আর আমল হতে হবে একমাত্র তাঁর সন্তুষ্টির জন্য। রাতের আমল মহান আল্লাহর কাছে অত্যন্ত প্রিয়।
এখানে রাতের বিশেষ ৩ আমল তুলে ধরা হলো:
সুরা মুলক তেলাওয়াত করা
রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মুলক তেলাওয়াতের আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।’ (তিরমিজি)
সুরা মুলক রাতের বেলা পড়া উত্তম, তবে অন্য যেকোনো সময়ও পড়া যাবে। হাদিসে এসেছে-
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সুরা মুলক তেলাওয়াত না করে রাতে ঘুমাতে যেতেন না। (তিরমিজি)
সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়া
নিরাপত্তার জন্য এ সুরাগুলোর আমল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল-বিকাল সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক ও সুরা নাস ৩বার পড়বে; এগুলোই তার সবকিছুর (নিরাপত্তার) জন্য যথেষ্ট হবে।’ হাদিসের একাধিক বর্ণনায় এ সুরার অনেক বৈশিষ্ট্য ও প্রাপ্তির কথা উঠে এসেছে-
আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রাতে যখন ঘুমাতে যেতেন, তখন নিজের উভয় হাত এক সঙ্গে মিলাতেন। তারপর সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস পড়তেন এবং উভয় হাতে ফুঁক দিতেন। তারপর দেহের যতটুকু অংশ সম্ভব হাত বুলিয়ে নিতেন। তিনি মাথা, মুখমণ্ডল ও শরীরের সামনের অংশ থেকে শুরু করতেন। তিনি এরূপ তিনবার করতেন। (বুখারি)
তিন তাসবিহ পড়া
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর ৩ তাসবিহ- সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, মহান আল্লাহ প্রিয়নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রত্যেক নামাজের পর তাসবিহ পড়ার আদেশ করেছেন। নবিজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যে তাসবিহ পড়তে বলেছেন। তাহলো-
ক) সুবহানাল্লাহ- ৩৩বার; খ) আলহামদুলিল্লাহ- ৩৩বার ও গ) আল্লাহু আকবার- ৩৪বার।
শুধু প্রত্যেক ফরজ নামাজের পরই নয়, এ তিন তাসবিহ সকাল-সন্ধ্যায় যেমন পড়া কথা বলেছেন নবিজী তেমনি তিনি রাতে শোয়ার সময়ও এ ৩টি তাসবিহ পড়া কথা বলেছেন। সুবহানাল্লাহ-৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার এবং আল্লাহু আকবার ৩৩/৩৪বার পড়া।
আপনার মতামত লিখুন :