ইসলাম মানব জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ একটি ধর্ম। এতে কোনো সন্দেহ নেই। শুধু মুসলমানদের জন্যই ইসলাম এমনটি নয়। ইসলাম সব মানব জাতি ও জীবনের জন্য একটি দৃষ্টান্ত। ইসলামের প্রতিটি বিধান মোতাবেক চলতে পারলে আমাদের বাস্তব জীবন আরও সুন্দর এবং সাবলীল হয়ে উঠবে। এমনই একটি বিধান হচ্ছে নামাজ। মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নামাজ এমনিতেই একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। ফরজ কাজ হিসেবে এটি আদায় করতে হয়। তবে আপনি যদি জানেন যে, এটি আপনার শরীরের জন্য এবং মনের জন্য একটি উপকারী বিষয়, তা হলে নিশ্চয় এটির গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে আপনার কাছে।
দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উপকৃত হতে পারে এবং শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে পারে। গবেষকরা বলেছেন, নামাজের সময় শারীরিক যে ক্রিয়া হয়ে থাকে, এটি যদি নিয়মিতভাবে ও নির্ধারিত সময়ে হয় তবে অন্য সব চিকিৎসা থেকে পিঠের ব্যথা কমানোর ক্ষেত্রে বেশি ভূমিকা পালন করবে এই নামাজ। শারীরিক এই উপকার ছাড়াও নামাজ আল্লাহর সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক বৃদ্ধি করে। আর এই সম্পর্ক মানুষের আত্মাকে প্রশান্ত করে।
নিয়মিত নামাজ শরীরের ওপর এই ঝিম প্রভাব, রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দন কমাতে পারে, পেশি শিথিল করতে সাহায্য করে। যদি কেউ ঠিকমতো রুকু করতে পারে, তা হলে তার পিঠে কোনো ব্যথা থাকবে না। কেননা রুকুর সময়ই পিঠ সমান হয়ে থাকে। রুকুর মাধ্যমে নিচের পিঠ, ঊরু এবং ঘাড়ের পেশিগুলো সম্পূর্ণভাবে প্রসারিত করে এবং রক্ত শরীরের ওপরের অংশে প্রবাহিত হয়। সেজদা দিলে হাড়ের জোড়ার নমনীয়তা বাড়ে। মাথা নামানোর সময় মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন হলে রক্তচাপও কমে এবং মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
নামাজ পড়ে শরীর যেমন ভালো থাকে ঠিক একইভাবে মনও ভালো থাকে। আমরা জানি শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না। তাই মন ভালো রাখার অন্যতম কাজ শরীর ভালো রাখা। আর সেই কাজটি নামাজের মাধ্যমে হয়ে যায়। এ ছাড়া নামাজ আপনার মনে প্রফুল্লতা এনে দেয়। নামাজ আদায় করার পর মনের মধ্যে ভালোলাগা অনুভব হয়। সেই সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে আরও গভীর সম্পর্ক হয় নামাজের মাধ্যমে। এতে করে অবশ্যই আমাদের মন ভালো থাকবে নামাজ পড়ার মাধ্যমে।
তবে এটি সত্য যে নামাজ শারীরিক উপকারের জন্য পড়তে হয় না। নামাজ পড়তে হয় মহান আল্লাহর আদেশ পালন করার জন্য। তাকওয়া বা আল্লাহভীতি অর্জনের জন্য। মহান আল্লাহ তাঁর প্রতিটি আদেশের মধ্যেই মানব জাতির জন্য কল্যাণকর দিক দেখিয়েছেন। এর মধ্যে নামাজ একটি। তাই আসুন, আমরা নিজেরা নামাজ পড়ি সেই সঙ্গে অন্যদেরও নামাজ পড়তে উৎসাহ দিই।
সময়ের আলো
আপনার মতামত লিখুন :