শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের নারী ক্রিকেটার সোহেলিকে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করলো আইসিসি ◈ এক থানার ১৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড, জানা গেল কারণ ◈ আবারও যুক্তরাষ্ট্রে দুই বিমানের সংঘর্ষ ◈ মিটারের অতিরিক্ত ভাড়া নিলে সিএনজি চালককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ◈ হাসিনাসহ শীর্ষ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩-৪টি মামলার রায় অক্টোবরে: আসিফ নজরুল (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা নির্বাচন আশা করছে ইউএনডিপি: স্টেফান লিলার ◈ বিশেষ অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত গ্রেফতার ৪৮ ◈ শাহবাগে আজও প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা (ভিডিও) ◈ আধিপত্য থেকে বৈধতার সংকটে আওয়ামী লীগ! ◈ আশুলিয়ায় পোশাক কারখানার ভেতরে  শ্রমিকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নফল নামাজ ঘরে পড়ার বিধান

নফল নামাজ আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের  মাধ্যম। নিয়মিত নফল নামাজ ঈমানের দৃঢ়তা বৃদ্ধি করে, অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে এবং আখিরাতে সফলতার জন্য প্রস্তুত করে।

ফরজ নামাজ জামাতে পড়ার প্রতি অত্যন্ত গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। আর সুন্নত ও নফল নামাজ ক্ষেত্রেবিশেষ ঘরে আদায়কে উত্তম বলা হয়েছে।

জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন মসজিদের (ফরজ) নামাজ আদায় করে, তখন সে যেন ঘরের জন্য (সুন্নত ও নফল) নামাজের একটি অংশ নির্দিষ্ট করে নেয়। কেননা তার নামাজের বরকতে আল্লাহ তাআলা তার ঘরে বরকত দান করেন।’
(মুসলিম, হাদিস : ১৮৫৮)

নফল নামাজ ঘরে আদায়ের দ্বারা ইখলাস বৃদ্ধি পায়। রিয়া ও আত্ম প্রদর্শনের সুযোগ কমে যায়।

ঘরবাড়ি আলোকিত হয়। ইবনে উমর (রা.) বলেন, ‘তোমাদের নামাজের কিছু অংশ তোমাদের ঘরে (আদায়ের জন্য) নির্ধারিত করবে এবং সেগুলোকে কবর বানাবে না।’ (মুসলিম, হাদিস : ১৬৯৩)

নফল নামাজ ঘরে পড়া শুধু ব্যক্তিগত ইবাদতের মান বাড়ায় না, বরং ঘরের পরিবেশকেও নুরানিয়ত বানায়। শান্তি ও বরকতে ভরিয়ে তোলে।

এতে পরিবারের অন্য সদস্যরাও ইবাদতে আগ্রহী হওয়ার সবক পায়। আবদুল্লাহ ইবনে সাদ (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করলাম, কোনটি উত্তম, আমার ঘরে সালাত আদায় করা অথবা মসজিদে? তিনি বলেন, তুমি কি দেখ না? আমার ঘর মসজিদের কত নিকটে? তা সত্ত্বেও মসজিদে সালাত আদায় করার চাইতে আমার ঘরে সালাত আদায় করা আমার নিকট অধিক প্রিয়। তবে ফরজ সালাত ছাড়া।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৭৮)

ফরজ নামাজ যদি গ্রহণযোগ্য কোনো ওজরের কারণে বসে পড়া হয় তাহলে পূর্ণ সওয়াব পাওয়া যাবে। কিন্তু নফল নামাজের ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে পড়া উত্তম।

আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় বসে পড়ে তার সওয়াব অর্ধেক হয়।

ইমরান ইবনে হুসাইন (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি ছিলেন অর্শ রোগী, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বসে নামাজ‌ আদায় করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেন, যদি কেউ দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করে তবে তা-ই উত্তম। আর যে ব্যক্তি বসে নামাজ আদায় করবে, তার জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব আর যে শুয়ে আদায় করবে তার জন্য বসে আদায়কারীর অর্ধেক সওয়াব। (বুখারি, হাদিস : ১০৪৯) বিডি-প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়