শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ থেকে যাওয়ার সময় জীবননাশের শঙ্কায় ছিলাম: দাবি হাথুরুসিংহের ◈ জাতীয় পরিচয়পত্রের অসুন্দর ছবিটি ঘরে বসেই বদলাবেন যেভাবে ◈ বাংলাদেশ হয়ে সেভেন সিস্টার্সে যাওয়ার রেল প্রকল্প স্থগিত করলো ভারত ◈ ‘৫ বছরে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে খরচ ২৩০০ কোটি, তা ৭০০ কোটিতে নামানো সম্ভব’ ◈ নারী সংস্কার কমিশনের কিছু সুপারিশ কোরআন-হাদিসের লঙ্ঘন, বললেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ◈ রামপালের চেয়ে ৬০% কম: মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৮.৪৫ টাকা ◈ সোনার খোঁজে নেপাল যা‌চ্ছে বাংলাদেশ টেবিল টেনিস দল ◈ সংসদীয় সংস্কারে রাষ্ট্রপতির স্বাধীন সিদ্ধান্তের পক্ষে বিএনপি, ২২ এপ্রিল তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন আদায়ে সোচ্চার বিএনপি, সর্বদলীয় জনমত গঠনে জোর, চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ ◈ সিলেটে বাংলা‌দেশ অলআউট ১৯১ রা‌নে, দিন শে‌ষে জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ বিনা উই‌কে‌টে ৬৭

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আপডেট : ১৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মিজানুর রহমান আজহারীর

সাত সকালে একটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে স্তব্ধ মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী। এক মুসলিম ভাইয়ের হাতে আরেক মুসলিম ভাই রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনাটি তাঁকে চরমভাবে মর্মাহত করেছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি বিশদ স্ট্যাটাসে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

 মাওলানা আজাহারী বলেন, ‘নবীজির সময়ে আউস ও খাযরাজ গোত্রের শত বছরের শত্রুতা এক ঘণ্টার মধ্যে মিটে গিয়েছিল নবীজির তাওহিদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে। নবীজি তাদেরকে দেখিয়েছিলেন যে, বড়ত্ব কেবল আল্লাহর জন্য, আর মানুষের উচিত আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজেদের সমর্পণ করা। ঠিক সেই শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই দুই গোত্র ভাই ভাই হয়ে গিয়েছিল।’
 
 আজাহারী তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘দেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্ব এখন তাবলিগের মুরুব্বিদের উপর। প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনগুলোকে বিতর্কিত করতে এ ইস্যু কাজে লাগাতে পারে।’
 
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘তাবলিগের সাথীদের মাঝে ‘এক উম্মাহ’ কনসেপ্ট যথাযথভাবে শিক্ষাদান করতে ব্যর্থতার বিষয়টি এখন আত্মসমালোচনার দাবি রাখে। অন্যান্য দেশের তাবলিগ সাথীরা যার যার মতো কাজ করলেও এমন সংঘর্ষ হয় না। কারণ তারা উম্মাহ স্পিরিটকে বড় করে দেখে।’
 
তিনি মুসলিমদের ঐক্যের গুরুত্ব বোঝাতে শামের উদাহরণ তুলে ধরেন। সেখানে একাধিক গ্রুপ ভিন্ন মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও মুসলিম স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
 
সবশেষে, তাবলিগের সাথীদের প্রতি মাওলানা আজাহারী আহ্বান করেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে সংযত হোন। মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানো কখনোই নবিজির উম্মতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। দলীয় স্বার্থকে ছাড়িয়ে উম্মাহ স্পিরিটকে বড় করে দেখুন। আসাবিয়্যাতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে নবিজি সতর্ক করেছেন, তাই এ ধরনের প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়