শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:২৯ রাত
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান মিজানুর রহমান আজহারীর

সাত সকালে একটি মর্মান্তিক ঘটনার খবর শুনে স্তব্ধ মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী। এক মুসলিম ভাইয়ের হাতে আরেক মুসলিম ভাই রক্তাক্ত হওয়ার ঘটনাটি তাঁকে চরমভাবে মর্মাহত করেছে।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজাহারী তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে একটি বিশদ স্ট্যাটাসে তিনি বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বস্থ মুরুব্বিদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

 মাওলানা আজাহারী বলেন, ‘নবীজির সময়ে আউস ও খাযরাজ গোত্রের শত বছরের শত্রুতা এক ঘণ্টার মধ্যে মিটে গিয়েছিল নবীজির তাওহিদের শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে। নবীজি তাদেরকে দেখিয়েছিলেন যে, বড়ত্ব কেবল আল্লাহর জন্য, আর মানুষের উচিত আল্লাহর ইচ্ছার সামনে নিজেদের সমর্পণ করা। ঠিক সেই শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমেই দুই গোত্র ভাই ভাই হয়ে গিয়েছিল।’
 
 আজাহারী তাবলিগ জামাআতের নেতৃত্বকে দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার আহ্বান জানান। তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘দেশের মুসলিমদের ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্ব এখন তাবলিগের মুরুব্বিদের উপর। প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমগুলো বাংলাদেশের ইসলামি আন্দোলনগুলোকে বিতর্কিত করতে এ ইস্যু কাজে লাগাতে পারে।’
 
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘তাবলিগের সাথীদের মাঝে ‘এক উম্মাহ’ কনসেপ্ট যথাযথভাবে শিক্ষাদান করতে ব্যর্থতার বিষয়টি এখন আত্মসমালোচনার দাবি রাখে। অন্যান্য দেশের তাবলিগ সাথীরা যার যার মতো কাজ করলেও এমন সংঘর্ষ হয় না। কারণ তারা উম্মাহ স্পিরিটকে বড় করে দেখে।’
 
তিনি মুসলিমদের ঐক্যের গুরুত্ব বোঝাতে শামের উদাহরণ তুলে ধরেন। সেখানে একাধিক গ্রুপ ভিন্ন মতাদর্শ থাকা সত্ত্বেও মুসলিম স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে।
 
সবশেষে, তাবলিগের সাথীদের প্রতি মাওলানা আজাহারী আহ্বান করেন, ‘আল্লাহর ওয়াস্তে সংযত হোন। মুসলিম ভাইয়ের রক্ত ঝরানো কখনোই নবিজির উম্মতের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। দলীয় স্বার্থকে ছাড়িয়ে উম্মাহ স্পিরিটকে বড় করে দেখুন। আসাবিয়্যাতের ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে নবিজি সতর্ক করেছেন, তাই এ ধরনের প্রবণতা থেকে দূরে থাকুন।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়