আকিকা আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ কাটা, আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা, জানের সদকা দেয়া ও আল্লাহর নেয়ামতের মোকাবিলায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা। ইসলামি পরিভাষায় আকিকা হচ্ছে, নবজাতকের পক্ষ থেকে পশু জবাই করা। আলেমদের অনেকেই আকিকা করাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ বলেছেন।
অনেকে জানতে চান, আকিকার পর নাম কি পরিবর্তন করা যাবে?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, আকিকার পর রাখা নাম কোনো কারণে পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে পরিবর্তন করার সুযোগ আছে। নাম পরিবর্তন করার পর আবার নতুন করে আকিকা দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। (ফাতাওয়ায়ে ফকিহুল মিল্লাত: ১২/১৬৩)
কত দিন পর আকিকা করবেন?
জন্মের সপ্তম দিন, সম্ভব না হলে ১৪তম দিন বা ২১তম দিন আকিকা করা সুন্নত। হজরত বুরায়দা (রা.) বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলেন, সপ্তম দিন অথবা চতুর্দশ দিন অথবা একুশতম দিন আকিকা কর। (তিরমিজি)
আকিকার গোশতের বিধান : অধিকাংশ আলেম আকিকার গোস্ত পাকানো মুস্তাহাব বলেছেন, এমনকি সদকার অংশও। হ্যাঁ, পাকানো ব্যতীত বণ্টন করাও বৈধ। হজরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ছেলের পক্ষ থেকে সমমানের দুটি আর মেয়ের পক্ষ থেকে একটি বকরি জবেহ কর। (আহমদ, তিরমিজি)
কোরবানির পশুর ক্ষেত্রে যেসব শর্ত রয়েছে আকিকার পশুর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য। অর্থাৎ পশুর কোনো অংশ মজদুরি হিসেবে দেয়া যাবে না। এর চামড়া বা মাংস বিক্রি করা যাবে না বরং এর মাংস খাবে, সদকা করবে ও যাকে ইচ্ছে উপহার হিসেবে প্রদান করবে।
একদল আলেম বলেছেন, কোরবানিতে যেমন অংশীদারিত্ব বৈধ এখানে সে অংশীদারিত্ব বৈধ নয়। যদি কেউ গরু বা উটের মাধ্যমে আকিকা করতে চায় তাকে একজনের পক্ষ থেকে পূর্ণ একটি পশু জবেহ করতে হবে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আমল ও বাণী থেকে এ মতই সঠিক মনে হয়। উৎস: সময়নিউজটিভি।
আপনার মতামত লিখুন :