সিজদার সময় মানুষ মহান আল্লাহর সর্বাধিক কাছে চলে যায়। এতে বিগলিত চিত্তে মহান আল্লাহর শরণাপন্ন হয়। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সিজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক দোয়া করতে থাক। (মুসলিম:৪৮২)
সিজদায় বান্দা মহান আল্লাহর সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে। অনেকে জানতে চান, নামাজের সিজদায় নিজের ভাষায় দোয়া করা যাবে কি?
এর উত্তরে ফুকাহায়ে কেরাম বলেন, ফরজ নামাজের সিজদায় শুধু নির্ধারিত তাসবিহ পড়তে হবে। নিজের ভাষায় দোয়া করা যাবে না বা অন্যান্য দোয়া পড়া যাবে না। কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়াও ফরজ নামাজের সিজদায় পড়া যাবে না।
তবে নফল নামাজের সিজদায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়া করা জায়েজ। আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নফল নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন। হজরত আবু হোরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের সিজদায় দোয়া করতেন,
اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ (উচ্চারণ: আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমার সূক্ষ্ম, স্থুল, শুরু ও শেষের সব গুনাহ ক্ষমা করে দিন। (তাহাবি)
ফরজ নামাজে যেমন নফল নামাজের সিজদায় বা অন্য কোনো অংশে নিজের মাতৃভাষায় বা অন্য যে কোনো ভাষায় মানুষের রচিত দোয়া করা যাবে না। কোরআন হাদিসে বর্ণিত কোনো দোয়ার অনুবাদও নামাজে পড়া যাবে না।
মহান আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষের কথা নামাজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে নিষেধ করেছেন। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, নামাজ মানুষের কথাবার্তা বলার ক্ষেত্র নয়। এটা শুধু তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের জন্য সুনির্দিষ্ট। (মুসলিম) সূত্র : সময়টিভি
আপনার মতামত লিখুন :