শিরোনাম
◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার ◈ ৪ স্ত্রী ও দুই গার্লফ্রেন্ডের টাকায় চলে সংসার, খুঁজছেন নতুন স্ত্রী ! ◈ রোনালদোর গোলে আল নাসরের নাটকীয় জয় ◈ ঝিনাইদহে পিকআপভ্যানের চাপায় নারী নিহত ◈ আড়াই মাস পর প্রকাশ্যে, মধ্যরাতে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের মিছিল (ভিডিও) ◈ আমার কাছে বিশ্বকাপ খেলা মুখ্য নয়, ক্যারিয়ারের বাকি সময়টা উপভোগ করতে চাই: মেসি ◈ অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়াকে টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)  যেভাবে ভুল শুধরে দিতেন

মানুষ ভুল করে এটা খুবই স্বাভাবিক বিষয়। কারও ভুল ধরিয়ে দিলে অনেকেই তা শুধরে নেন। বিপত্তি ঘটে যখন কেউ ভুল ধরিয়ে দিতে গিয়ে অপমানিত করে ও তিরস্কার করে। যা একজন মুসলিমের জন্য শোভনীয় নয়।

কাউকে সবার সামনে অপমানিত করে ভুল শুধরে দেয়ার পদ্ধতি ইসলাম অনুমোদন করে না। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.) কখনোই ভুল শুধরে দিতে কঠোরতার পথ বেছে নেননি। কেউ ভুল করলে একান্তে ডেকে নরম ভাষায় বা ইঙ্গিতে ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন।

 হজরত মুআবিয়া ইবনে হাকাম আস-সুলামি (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আমি রসুলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে নামাজ পড়ছিলাম। এ সময় এক ব্যক্তি হাঁচি দেয়। আমি তার উত্তরে ইয়ারহামুকাল্লাহ বলে ফেলি। উপস্থিত লোকজন আমার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকালে আমি বললাম, ‘তোমরা আমার দিকে এভাবে তাকিয়ে আছ কেন?’ তখন তারা (বিস্মিত হয়ে) ঊরু চাপড়াতে শুরু করে। আমি বুঝতে পারলাম, তারা আমাকে চুপ করতে বলছে। আমি চুপ হয়ে যাই।’
 
মুআবিয়া ইবনে হাকাম বলেন, রসুলুল্লাহ (স.) নামাজ শেষ করে আমাকে (একান্তে) ডাকলেন। তিনি আমাকে কোনো ধরনের তিরস্কার করেননি এবং কোনো কটু কথাও বলেননি। তার চেয়ে উত্তম শিক্ষক আমি কখনো দেখিনি। তিনি শুধু বলেছিলেন, ‘নামাজে কথা বলা উচিত নয়। নামাজ হলো তাসবিহ, তাকবির ও কোরআন তিলাওয়াতের সমষ্টি।’ (মুসলিম)
 
এ বিষয়ে হজরত আনাস (রা.) বলেন, একদিন আমরা রসুলুল্লাহ (স.)-এর সঙ্গে মসজিদে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ এক বেদুইন এসে মসজিদের মধ্যেই দাঁড়িয়ে প্রস্রাব করতে লাগল। তা দেখে সাহাবিরা ‘থামো থামো’ বলে তাকে প্রস্রাব করতে বাধা দিলেন। তখন রসুল (স.) বললেন, তোমরা তাকে বাধা দিয়ো না, বরং তাকে ছেড়ে দাও।
 
লোকজন তাকে ছেড়ে দিল, সে প্রস্রাব সেরে নিল। রসুলুল্লাহ (স.) তাকে কাছে ডেকে বললেন, ‘এটি মসজিদ। এখানে প্রস্রাব করা কিংবা ময়লা-আবর্জনা ফেলা যায় না।’ (মুসলিম ২৮৫)
 
 একজন মুসলিমের সবসময় হিতাকাঙ্ক্ষী হওয়া উচিত। হিংসার বশবর্তী হয়ে অন্যের ভুল ধরা উচিত নয়। কেউ যদি অন্যের কল্যাণ কামনা করে ভুল ধরিয়ে দিতে চায় তাহলে যে ভুল করেছে সে কষ্ট পাবে এমন আচরণ করাও উচিত নয়। উৎস: সময়নিউজ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়