শিরোনাম
◈ সিনওয়ারের মরদেহ নিয়ে ‘দর কষাকষি’ করতে চায় ইসরায়েল ◈ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন : সাড়ে চারশ কোটি টাকার ময়লা-বাণিজ্য হাত বদল ◈ এবার ভয়ংকর সেই আয়নাঘর নিয়ে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদন ◈ নির্বাচনের সময় নিয়ে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন আসিফ নজরুল ◈ পরীক্ষা দিতে এসে আটক রাবি ছাত্রলীগের ২ নেতা ◈ বিশ্বের ১১০ কোটি তীব্র দরিদ্র মানুষের মধ্যে প্রায় ২৫ কোটি থাকেন ভারতেই!  ◈ দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার পথে বরের ওপর সাবেক স্ত্রীর হামলা ◈ এবার শাহবাগে বিক্ষোভ করছে আউটসোর্সিং কর্মচারীরা : চাকরি জাতীয়করণের দাবি ◈ স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ আবার ফিরেছেন বাংলাদেশ দলে ◈ দক্ষিণখানে পুলিশের পোশাক,নকল পিস্তলসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট, ২০২৪, ১১:৪৪ দুপুর
আপডেট : ১৯ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুমার দিন যেসব ভুল করা যাবে না !

জুমার দিনের গুরুত্ব অপরিসীম। এটি সপ্তাহের সেরা দিন। একে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। ‘জুমা’ শব্দটি ‘জমা’ শব্দ থেকে এসেছে। জমা আরবি শব্দ; এর অর্থ একত্র হওয়া বা একত্র করা। নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ (ইবনে মাজাহ: ১০৮৪)। সব মুসলমান জুমার নামাজ আদায় করেন। কিন্তু এ নামাজের সময় কিছু ভুল হয়ে যায়, যে ভুলগুলো থেকে দূরে থাকা আবশ্যক।

পরিচ্ছন্ন না হয়ে জুমায় যাওয়া

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, ‘আমি এ মর্মে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহর রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জুমার দিন প্রত্যেক প্রাপ্ত বয়স্কের জন্য গোসল করা ওয়াজিব। আর সবাই মিসওয়াক করবে এবং সম্ভব হলে সুগন্ধি ব্যবহার করবে।’ (বুখারি: ৮৮০)

এজন্য প্রাপ্ত বয়স্ক সবার উচিত জুমার দিন গোসল এবং মিসওয়াক করা; সামর্থ্য থাকলে সুগন্ধি ব্যবহার করা। এছাড়া, ভাল ও পরিচ্ছন্ন জামা পড়ে মসজিদে যাওয়া উচিত। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এদিন ভাল ও পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতেন।  

মসজিদে দেরি করে যাওয়া

জুমার নামাজ কেবল দুই রাকাত আদায় করাই যথেষ্ট নয়। জুমার খুতবা শোনাও জরুরি। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (সহবাস পরবর্তীকালে করা গোসল) করে এবং নামাজের জন্য প্রথম আসে, সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। 

 ‘এক্ষেত্রে দ্বিতীয় যে ব্যক্তি আসে, সে যেন একটি গাভি কোরবানি করলো; আর তৃতীয় জন যেন একটি শিং-বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো; চতুর্থ জন যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো; পঞ্চম জন যেন একটি ডিম কোরবানি করলো।’ (বুখারি: ৮৮১)

জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা

ইসলামি শরিয়তে জুমার নামাজের সময় অন্য কাজ করা নিষিদ্ধ; যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মসজিদের দিকে যাওয়া জরুরি। জুমার প্রথম আজান শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায় কিংবা অন্য কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া কিংবা নামাজের জন্য বিরতি দেয়া উচিত। 

হজরত আয়েশা (রা.) বলেছেন, লোকজন নিজেদের কাজকর্ম নিজেরাই করতেন। যখন তারা দুপুরের পরে জুমার জন্য যেতেন, তখন সে অবস্থায়ই চলে যেতেন। তাই তাদের বলা হলো, যদি তোমরা গোসল করে নিতে পার ভালো হতো...। (বুখারি: ৯০৩)

মনোযোগ দিয়ে খুতবা না শোনা

খুতবা শোনা জুমার নামাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই ঠিকভাবে খুতবা শোনাও জরুরি। তবে যদি মুসল্লি বেশি হওয়ার কারণে অথবা অন্য কোনো কারণে খুতবার আওয়াজ শোনা না যায়, তবে নীরব থাকা নিয়ম।

হজরত আবু হুরায়রাহ (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমভাবে অজু করে জুমার নামাজে এলো, নীরবে মনোযোগ দিয়ে খুতবা শুনলো, তাহলে তার পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং আরও অতিরিক্ত তিন দিনের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়। আর যে ব্যক্তি অহেতুক কিছু (কঙ্কর স্পর্শ বা অন্যকিছু) করলো, সে প্রত্যাখ্যানযোগ্য কাজ করলো।’ (মুসলিম: ১৮৭৩)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়