সাক্ষাৎকার সমকাল থেকে নেয়া : প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন উপলক্ষে গতকাল শুক্রবার সমকালের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। তাঁর নিজ বাসভবনে বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন প্রেস সচিব। সংস্কার বাস্তবায়নে সংসদ লাগবে– এমন ধারণাকে তিনি নাকচ করে দিয়ে বলেন, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত সরকারের সঙ্গে রাজনৈতিক পক্ষগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলেই চলবে। বর্তমান সরকারের সঙ্গে সব রাজনৈতিক শক্তির সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রেস সচিব বলেন, সরকারের সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়া আরও বেশি সহজ হতো, যদি জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িত চিহ্নিত নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ নিজ থেকে রাজনীতিতে ফিরে আসত। কিন্তু আওয়ামী লীগের মধ্যে এমন কোনো তৎপরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।
তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো কথা বলেনি। আওয়ামী লীগ দ্বারা এত বড় একটা হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের কোনো নেতা কি দুঃখ প্রকাশ করেছেন? প্রতিটা সমাজই চায় একটা রিকনসিলিয়েশনের পথ তৈরি করতে। কিন্তু সেটি হবে কীভাবে? তারা তো এসব মৃত্যুর কথা স্বীকারই করে না। বরং আরও ডাহা ও ভয়ংকর মিথ্যা বলছে– তিন হাজার পুলিশ মেরে ফেলা হয়েছে।
তিনি বলেন, একটি সমাজে রিকনসিলিয়েশন তখনই হবে, যখন তারা দুঃখ প্রকাশ করবে। তারা তা করেনি। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের কেউই বলেননি– ১৫ বছরে যা হয়েছে, তা খুব খারাপ হয়েছে। তারা তাদের নেত্রীকে দায়ী করেননি। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে কেউ একজন কি পদত্যাগ করেছেন? কেউ একজন কি বলেছেন– ‘শেখ হাসিনা, আপনি যা করেছেন, অন্যায় করেছেন। আপনি বাচ্চা বাচ্চা ছেলেমেয়েদের মেরেছেন।’ কিন্তু আওয়ামী লীগের কারও মধ্যে কি অনুশোচনা আছে? তাদের তাহলে কীভাবে সংলাপে ডাকব? এর জন্য জায়গাটা তো তাদের তৈরি করতে হবে। তারা একটা দিবাস্বপ্নে আছেন– সরকার ব্যর্থ হলে আবার ক্ষমতায় আসবেন। এটা নতুন বাংলাদেশ। প্রতিটা মৃত্যুর দায়দেনা তাদের পরিশোধ করতে হবে।
সরকারের প্রথম ১০০ দিনের কার্যক্রম মূল্যায়নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম অন্তত ছয়টি বিষয়কে উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারের প্রতিশ্রুতি সরকারের প্রধান এজেন্ডা। রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি সম্পর্কে তিনি বলেন, যৌক্তিক কারণেই সরকার এ মুহূর্তে নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করতে পারছে না।
প্রথম ১০০ দিনে সরকারের সামনে আসা সংকটগুলো খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে মোকাবিলা করা সম্ভব হয়েছে দাবি করে প্রেস সচিব বলেন, কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারের নীতি ছিল ‘কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ না করে সবার সঙ্গে কথা বলা’। এ সময় সরকারকে বন্যা ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের আন্দোলনসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এই সময়ে সরকারের অর্জনকে অভূতপূর্ব আখ্যায়িত করে শফিকুল আলম বলেন, প্রথম অর্জন গণঅভ্যুত্থানের পর ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ পালাবদল।
বিশ্বের যে কোনো দেশে অভ্যুত্থানের সময়টি রক্তপাত এবং বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে পার করতে হয়। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বের কারণে শান্তিপূর্ণ পালাবদল সম্ভব হয়েছে। যদিও ৫ থেকে ৮ আগস্টের মধ্যে কিছু হত্যার ঘটনা ঘটেছে, যখন দেশে কোনো সরকার ছিল না। সরকার গঠনের পর দ্রুত পুলিশকে কাজে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা ছিল। তিনি বলেন, বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের শীর্ষ নেতারাই বলছিলেন, তাদের ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হলে লাখ লাখ লোক মারা পড়বে। ১৫ বছরের স্বৈরাচারকে সরিয়ে অভ্যুত্থান-পরবর্তী সমাজে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই কঠিন ব্যাপার। সরকার সেখানে সফল হয়েছে। সমাজে স্থিতিশীল অবস্থা আনা সম্ভব হয়েছে।
দ্বিতীয় অর্জন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার। বিদায়ী সরকার যে অবস্থায় রেখে গেছে; রিজার্ভের অবস্থা খারাপ ছিল; আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। ব্যাংকগুলোতে কিছুই ছিল না; সবকিছু দখলে ছিল দুই-তিনটা অলিগার্কের হাতে। ৫-৬টি পরিবার মিলে দুই লাখ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আটকে রেখেছিল। একটি অরাজকতা ছিল; একজনের ইচ্ছার ওপরে চলত দেশটা।
প্রেস সচিব বলেন, এমন পরিস্থিতিতে অর্থ উপদেষ্টা এবং গভর্নর পদে দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তারা এসে অর্থনীতিতে একটা স্থিতিশীলতা এনে দিয়েছেন। ফলে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ছিল আউটস্ট্যান্ডিং পেমেন্ট; এর মধ্যে ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে সেই জায়গায় হয়তো এখনও নেওয়া যায়নি, তবে একটা স্থিতিশীল অবস্থানে এসেছে। অক্টোবরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২১ শতাংশ। এটি দারুণ অগ্রগতি। অনেকেই বলছিলেন, অর্থনৈতিক পরিস্থিতি খারাপ; রপ্তানির আদেশ অন্যত্র চলে যাচ্ছে। সেপ্টেম্বরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ শতাংশ; অক্টোবরে ২১ শতাংশ। সরকার মনে করে, প্রবৃদ্ধিটা সামনে আরও ভালো হবে। ফলে অর্থনীতির পুনরুদ্ধার সম্ভব হয়েছে; দেশের মানুষের জন্য একটি স্বস্তির জায়গা তৈরি হয়েছে। আগামীতে নতুন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র তৈরি হবে এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।
শফিকুল আলম সরকারের তৃতীয় সাফল্য হিসেবে জুলাই-আগস্টের গণহত্যার বিচারের লক্ষ্যে সরকার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে পেরেছে বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে নিহতদের ৩০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন করা হয়েছে। যত দ্রুত প্রত্যাশা করা হচ্ছে, সরকার হয়তো সেই গতিতে দিতে পারছে না। কিন্তু সরকারের কার্যক্রম থেমে নেই।
তিনি বলেন, গণহত্যায় জড়িত অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে পুনর্গঠন করা হয়েছে। আগে এ আদালতের বিচার নিয়ে যে ত্রুটি-বিচ্যুতির অভিযোগ ছিল, সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা রয়েছে। এটি স্বচ্ছ করা হবে। বিচার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের ডাকা হবে। আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, নিশ্চিত করা হবে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘকে ডাকা হয়েছে। আগামী মাসের প্রথম দিকে তাদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এ প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সরকার পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ প্রতিবেদন তুলে ধরা হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইতোমধ্যে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর করিম খানের সঙ্গে কথা বলেছেন বলেও জানান তিনি।
শফিকুল আলম বলেন, এই সরকারের আরেকটি সাফল্য আন্তর্জাতিক সমর্থন। সরকার অভূতপূর্ব আন্তর্জাতিক সমর্থন পেয়েছে। এ জিনিসটা খুব দরকার ছিল। কেননা, অর্থনীতিকে আবারও মেরামত করতে হবে। একটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসে বৈশ্বিক বাণিজ্যের মাধ্যমে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ বলা যাবে না। সামনে আরও ভালো হবে। ভারত সবচেয়ে বড় প্রতিবেশী। অবশ্যই সরকার চাইবে তাদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হোক। কিন্তু অবশ্যই সেই সম্পর্ক হবে সমতা ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে। এ ছাড়া গত ১০০ দিনে কোনো ধরনের দুর্নীতির কথা শোনা যায়নি। এগুলো এই সরকারের বড় ধরনের সফলতা।
সংস্কারের সুপারিশ বাস্তবায়নের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে প্রেস সচিব বলেন, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে হবে সংস্কার। বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল, গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থী সবাই ম্যাচিউরড। সবাই রাষ্ট্রকে মেরামত করতে চায়। এমন একটা রাজনৈতিক বন্দোবস্ত সরকার চায়, যেখানে সবাই মনে করবে– সবাই জয়ী হয়েছে। এই সরকার একটা বিপ্লবের ফসল।
সংবিধান সংস্কার করে ফ্যাসিবাদ বা স্বৈরাচার ঠেকানো সম্ভব কিনা– এমন প্রশ্নে শফিকুল আলম বলেন, আইনের মধ্যে তো অন্যায্য আইন আসতে পারে। তবে সমাজে বিতর্কের জায়গা থাকলে কখনও ফ্যাসিবাদ আসতে পারবে না। সবার মতকে সম্মান করতে হবে। এতে ফ্যাসিবাদ আসবে না।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, বাজারদর নিয়ন্ত্রণে সরকার সিন্ডিকেট ভাঙার কাজ করছে। ডিমের সংকট ছিল। সরকার ৩৩ কোটি ডিম আনার ঘোষণা দিয়েছে। আরেকটা হলো, যেসব পণ্যের দাম বেড়েছে, সেগুলো বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক কমিয়ে আনা হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে, গত দুই সপ্তাহে পণ্যের দাম নিম্নমুখী। তিনি বলেন, বিপ্লবী সরকারের একটা লক্ষ্য থাকে– মানুষের কষ্ট লাঘব করা।
রমজানে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে বড় আমদানিকারকদের সঙ্গে সরকার বৈঠক করেছে। তাদের বড় একটি বিষয় হলো ব্যাংক থেকে ডলারের চাহিদা মেটানো। সরকার এটি করছে। কেউ বলতে পারবে না যে, সে ডলার পাচ্ছে না। বিশ্বের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ছে। সরকার তাড়াতাড়ি শুল্ক কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। এটি শূন্যও হতে পারে। এসবই হচ্ছে রোজাকে সামনে রেখে। রোজার ৪ মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য অনেকেই প্রত্যাশিত সাফল্য দেখাতে পারছেন না– এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, কারও কারও কাজ হয়তো দৃশ্যমান হচ্ছে না। কিন্তু সবাই তাদের কাজের ক্ষেত্রে আন্তরিক।
মার্কিন নির্বাচনের ফল বাংলাদেশ সরকারের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে– এমন সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার আমলেও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট কে ছিল, তাতে এদেশের রাজনীতিতে তেমন কিছু হয়নি। আমেরিকার ফরেন পলিসি খুব তাড়াতাড়ি পরিবর্তন হয় না। ডোনাল্ড ট্রাম্প এলে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ভালো হবে। আমেরিকা সারাবিশ্বে গণতন্ত্রের প্রচার করে। বাংলাদেশও গণতন্ত্রের দিকেই যাচ্ছে।
প্রেস সচিব বলেন, নির্বাচনের তারিখ দেওয়া ছাড়া সরকার সবই ঘোষণা করেছে। গুরুত্বপূর্ণ ছয়টা সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এর মাধ্যমে রাষ্ট্র মেরামত করা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলো রিপোর্ট দেবে। সেই রিপোর্ট নিয়ে সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলবে। তাদের সঙ্গে কথা বলার পর একটা সাধারণ ঐক্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হবে– কতটুকু সংস্কার আমরা চাই। তাদের সঙ্গে সমঝোতার ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কবে হবে।
বিএনপি, জামায়াত এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব বাড়ছে– এমন ধারণা নাকচ করে দিয়ে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ খুবই সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে হয়েছে। এমন কোনো লক্ষণ নেই যে, তাদের সঙ্গে সরকারের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে। সরকার সংস্কারের সঙ্গে সমান্তরালভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিচ্ছে। সার্চ কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটি জানাবে কাদের নির্বাচন কমিশনার করা হবে।
সংস্কার শেষ করার আগেই সার্চ কমিটি গঠন রাজনৈতিক চাপে করা হয়েছে– এই ধারণাও তিনি নাকচ করে দেন। তাঁর মতে, নির্বাচনের প্রস্তুতিতে অনেক সময় লাগে। আইন সংশোধন করে অর্ডিন্যান্স জারি করে কমিশন করলে সময়ক্ষেপণ হবে। কমিশনারদের নিয়োগের অন্যতম কাজ হলো নির্ভুল ভোটার তালিকা করা। সংস্কারের পাশাপাশি রুটিন কাজটাও সরকার ভালোভাবে চালিয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এটা করা খুবই কঠিন ছিল।
আপনার মতামত লিখুন :