শিরোনাম
◈ অর্থনীতিকে ফিরিয়ে আনছেন ইউনূস, রাজনৈতিক দলগুলো চায় দ্রুত নির্বাচন ◈ বিএনপির ৩ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ◈ পাকিস্তানে হামলা করবে ভারত, নিউইয়র্ক টাইমসের চাঞ্চল্যকর প্রতিবেদন ◈ অর্থ কামানোই প্রধান লক্ষ্য, ২০২৪ সালে সাইবার হানার ধরন পাল্টেছে! ◈ রাবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্ক্যাবিস ছড়িয়ে পড়েছে, মেডিকেল সেন্টারে মিলছে চিকিৎসা ◈ ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর: আসিফ নজরুল ◈ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ লাগলে যুক্তরাষ্ট্র কী করবে? ◈ পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে চীনের জোরালো সমর্থন পেল পাকিস্তান ◈ পাস‌পোর্ট নেই, ভিসাও নেই, তারপ‌রেও  ৫০ টির বেশি দেশ ভ্রমণ ক‌রে‌ছেন তি‌নি ◈ আসছে নতুন ভাইরাস- মানুষ দ্রুত বু‌ড়ো হ‌য়ে যা‌বে,  চরম সতর্কবার্তা দিলেন বুল‌গে‌রিয়ান বাবা ভাঙ্গা

প্রকাশিত : ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৫৭ দুপুর
আপডেট : ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে চীনের জোরালো সমর্থন পেল পাকিস্তান

পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে চীন রোববার পাকিস্তানের আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়েছে এবং উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সঙ্গে ফোনালাপে এ সমর্থন জানান। ভারত অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের (আইআইওজেকে) পহেলগাঁও এলাকায় হামলার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে কথা হয়।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গভীর-বন্ধুত্বের প্রতীক এবং সর্বক্ষণের কৌশলগত সহযোগী অংশীদার হিসেবে চীন পাকিস্তানের বৈধ নিরাপত্তা উদ্বেগকে সম্পূর্ণভাবে বোঝে এবং এর সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা স্বার্থ রক্ষার প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

ভারতের হুমকির প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের জন্য চীনের এই সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।  ভারত যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে এবং পুরো যুদ্ধ কিংবা সীমিত সংঘাতের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের যেকোনো পরিস্থিতিতে চীনের সমর্থন পাকিস্তানের জন্য ভারতকে প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

কূটনৈতিক সূত্র মতে, যুদ্ধের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ভারত তার কৌশল নির্ধারণ করলেও ‘চীন ফ্যাক্টর’কে অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে।  কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীন কখনোই পাকিস্তানকে ভারতের কাছে দুর্বল হতে দেবে না এবং প্রয়োজনে সামরিক সহায়তাও দিতে পারে।

পহেলগাঁও হামলার পর ভারত যখন পাকিস্তানের ওপর দোষ চাপিয়ে আক্রমণের পরিকল্পনা করছে বলে খবর প্রকাশিত হচ্ছে, তখন দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এ আলোচনা হয়।  পহেলগাঁও  হামলাটি ২২ এপ্রিল ঘটে, যা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘অঞ্চলে স্বাভাবিকতা ফিরেছে’—এই বক্তব্যকে ভেঙে দেয়।

পাকিস্তান এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে এবং যেকোনো নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে অংশগ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছে। ফোনালাপে ওয়াং ই পাকিস্তানের নিরপেক্ষ তদন্তের দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।

ওয়াং ই বলেন, চীন দ্রুত একটি নিরপেক্ষ তদন্ত শুরুর পক্ষে এবং জোর দিয়ে বলছে, সংঘাত কখনো ভারত-পাকিস্তান কিংবা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বয়ে আনবে না।

তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ সংযম দেখাবে, একে অপরের দিকে এগিয়ে আসবে এবং উত্তেজনা প্রশমনে কাজ করবে। ওয়াং ই জানান, চীন পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যকার পরিস্থিতির ওপর নিবিড় নজর রাখছে।

ফোনালাপে ইসহাক দার ওয়াং ই-কে জানান, পাকিস্তান সব সময় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছে এবং উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপের বিরোধিতা করে। ইসহাক দার আরও বলেন, পাকিস্তান পরিপক্ক মনোভাব নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং চীনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখবে।

ওয়াং ই বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সব দেশের যৌথ দায়িত্ব। চীন সবসময় পাকিস্তানের দৃঢ় সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা বিবৃতিতে জানানো হয়, দার চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ভারতের একতরফা ও বেআইনি পদক্ষেপ এবং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন প্রচারণার বিষয়ে অবহিত করেন। 

তিনি পাকিস্তান-চীন বন্ধুত্ব ও সর্বক্ষণের কৌশলগত অংশীদারত্বের প্রতি অটল অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা আরও গভীর করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

উভয় পক্ষ আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও বোঝাপড়া বাড়াতে এবং একতরফা নীতি  ও আধিপত্যবাদী নীতির বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করার প্রত্যয় প্রকাশ করে। তারা সকল পর্যায়ে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ও সমন্বয় বজায় রাখার ব্যাপারেও একমত হয়।

এদিকে, ইসহাক দার যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামির সঙ্গেও কথা বলেন। সেখানে তিনি ভারতের মিথ্যা অভিযোগ, ভিত্তিহীন প্রচারণা এবং একতরফাভাবে সিন্ধু পানি চুক্তি (আইডব্লিউটি) স্থগিত করার বেআইনি সিদ্ধান্তের কথা উল্লেখ করেন, যা ভারতের আন্তর্জাতিক দায়িত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেন।

দার জানান, পাকিস্তান জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, তবে একইসঙ্গে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

ডেভিড ল্যামি উত্তেজনা প্রশমনের জন্য সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। উত্তেজনা কমাতে পাকিস্তানের ইতিবাচক মনোভাবের প্রশংসা করে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রাখবে এবং দুই দেশের সঙ্গে সক্রিয় যোগাযোগ বজায় রাখবে। সূত্র: যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়