ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলায় অন্তত ২৬ পর্যটক প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার পর শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশজুড়ে। হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে চিরবৈরী দেশটির বিরুদ্ধে একাধিক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) পাল্টা ভারতের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে পাকিস্তান।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, যেখানে হামলা হয়েছে ওই পর্যটক স্পটে কোনো যানবাহন যেতে পারে না। পায়ে হেটে বা ঘোড়ায় চড়ে সেখানে যেতে হয়। আর এই ঘোড়ার দরদাম করতে গিয়েই মঙ্গলবার স্পটে যাওয়ার পরিকল্পনা বাদ দেন কেরালার একদল পর্যটক। ফলে অল্পের জন্য বেঁচে যান ২৩ জনের ওই পর্যটক দল।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে পর্যটক দলের একজন বলেন, ‘ঘোড়াওয়ালা সেখানে যাওয়ার জন্য যে ভাড়া চেয়েছিলেন, তা আমাদের কাছে বেশি বলে মনে হয়েছিল। তাই আমরা ট্যাক্সি ভাড়া করে অন্য জায়গায় গিয়েছিলাম। তারপর মাথায় এলো, সেখান থেকে বৈসরনে যাব। তবে যাওয়ার পথে বিকট কিছু শব্দ শুনি এবং রাস্তায় দোকানপাট সব বন্ধ হয়ে যেতে দেখি। এছাড়া কিছু লোকজন দৌড়াচ্ছিল।
ওই দলের এক নারী পর্যটক জানান, প্রথমে কিছুই তারা বুঝতে পারেননি। গাইডকে আরও কয়েক জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। তবে গাইড বলেন, বেঁচে থাকতে চান নাকি ঘুরতে চান!’’ এরপরে তারা ট্যাক্সিতে করে হোটেলে ফিরে যান। সেখানে টিভিতে হামলার খবর জানতে পারেন। কেরলার এক পর্যটকের কথায়, ঘোড়ায় করে তখন যদি বৈসরনে যেতাম, তা হলে আমরাও হয়তো খুন হতাম।