শিরোনাম
◈ কোচ গি‌লে‌স্পি ও পা‌কিস্তান ক্রিকেট বো‌র্ডের দ্বন্দ্ব আইসিসি পর্যন্ত গড়ালো ◈ ভারতে রাজনৈতিক প্রতীক হয়ে উঠছে ব্যাগ: প্রিয়াঙ্কার ‘সহানুভূতি’র পাল্টা বাঁশুরির ‘দুর্নীতি’র বার্তা ◈ সড়কে ময়লা ফেলে তীব্র যানজট; বকেয়া বেতনের দাবিতে পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের আন্দোলন ◈ আওয়ামী লীগের ব্যানারে মিছিলের প্রস্তুতি, বিএনপি নেতার ছেলেসহ আটক ৮ ◈ দুবাই বিমানবন্দর থেকে জনপ্রিয় পাকিস্তানি টিকটকার গ্রেপ্তার ◈ বাংলাদেশ থেকে সৈন্য নেবে কাতার, এলএনজি চুক্তি বাড়ানোর উদ্যোগেও আগ্রহ ◈ পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে ‌লিও‌নেল মেসির আবেগঘন বার্তা ◈ বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে : প্রধান উপদেষ্টা  ◈ সংস্কার আলোচনা: প্রতিটি বিষয়ে মুহাম্মদ ইউনূস দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন, জানালেন আলী রীয়াজ ◈ হাসিনার সম্মানসূচক ডিগ্রি বাতিল করবে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০৪ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন:  বিশ্বজুড়ে বিশাল সাইবার স্ক্যাম বা কেলেংকারির আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞেরা। এই স্ক্যাম ছড়াতে পারে আফ্রিকা এবং ইউরোপে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল সোমবার জাতিসংঘ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, এশিয়ায় একটি কয়েক বিলিয়ন ডলারের স্ক্যাম সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে। রীতিমতো পরিকল্পনা করে তারা সাইবার অপরাধ সংগঠিত করছে। গোটা এশিয়াজুড়ে এই চক্র সক্রিয়। এবার তারা আফ্রিকা, ইউরোপ এবং আমেরিকাতেও জাল বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে। 

রিপোর্টে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই চক্র এখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। রিপোর্ট বলছে, চীন এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক গ্যাং এই অপরাধ সংগঠিত করছে। তারা ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে এই অপরাধের জাল ছড়াচ্ছে। অনেক সময় তারা ভালোবাসার জাল ছড়াচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে নারীদের। তাদের মাধ্যমে সর্বস্বান্ত করা হচ্ছে বহু মানুষকে।

জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, এই অপরাধচক্রে জোড়া হচ্ছে বিপুল পরিমাণ পাচার হওয়া ব্যক্তিদের। যাদের বাধ্য করা হচ্ছে সাইবার অপরাধের সঙ্গে যুক্ত হতে।  

জাতিসংঘের ড্রাগ এবং ক্রাইম সংস্থা ইউএনওডিসি-র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্যকরী প্রতিনিধি বেনেডিক্ট হফম্যান জানিয়েছেন, প্যাসিফিক আইল্যান্ড বা প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে ক্যানসারের মতো ছড়িয়ে পড়েছে এই ধরনের অপরাধ। প্রশাসন বিভিন্ন সময় রেড করে। অনেকে ধরা পড়ে। কিন্তু আবার অন্যত্র নতুন গ্যাং গজিয়ে ওঠে।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই অপরাধ এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দানা বেঁধেছে মিয়ানমারের সীমান্ত অঞ্চলগুলিতে। সেখানে গৃহযুদ্ধ চলায় প্রশাসনের পক্ষেও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। সেই সুযোগ নিচ্ছে অপরাধী গ্যাং-গুলি। 

অন্যদিকে লাতিন অ্যামেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যেও ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে এই ধরনের অপরাধমূলক কার্যকলাপ।   

হফম্যানের বক্তব্য, শুধমাত্র ২০২৩ সালে সাইবার অপরাধে মানুষ তিন হাজার ৭০০ কোটি ডলার খুইয়েছে। শুধুমাত্র অ্যামেরিকাতেই মানুষ হারিয়েছে ৫৬০ কোটি ডলার। এই চক্রের সঙ্গে লড়াই করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি প্রয়োজন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

এ নিয়ে বেইজিং সম্প্রতি মিয়ানমারে একটি অভিযান চালিয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের অফিসে রেড করা হয়। প্রায় সাত হাজার কর্মীকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যারা প্রায় ৫০টি দেশের মানুষ। বিভিন্নভাবে পাচার হয়ে তারা মিয়ানমার পৌঁছায় এবং তাদের এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে বাধ্য করা হয়।

কাম্বোডিয়াতেও সম্প্রতি অভিযান চালানো হয়েছে। সেখানেও এমন বহু গ্যাং কাজ করছে। বস্তুত, সেখানে সরকারও লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়