শিরোনাম
◈ মাসে অতিরিক্ত ২৫০ মিলিয়ন ডলার গুনতে হবে মার্কিন শুল্ক থাকলে  ◈ ভারতের সঙ্গে কাশ্মীর নিয়ে দ্বন্দ্বের প্রসঙ্গ বাংলাদেশের কাছে তুলল পাকিস্তান ◈ মেরে না ফেলা পর্যন্ত ভারত, ‘র’ আর আ.লীগের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে: হাসনাত আবদুল্লাহ ◈ ‘চীন সরকারের হাসপাতাল নীলফামারীতে হবে’ ◈ বাংলাদেশ ভ্রমণে মার্কিন নাগরিকদের জন্য সতর্কতা ◈ বাসাবাড়িতে নতুন গ্যাস সংযোগ নিয়ে তিতাসের সতর্কবার্তা ◈ দেশের বাজারে আবার বাড়লো স্বর্ণের দাম, দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ◈ প্রশাসন কার পক্ষে,পাল্টাপাল্টি অভিযোগে এনসিপি - বিএনপি ◈ প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকদের বেতনস্কেলের প্রস্তাব বাস্তবায়নে কাজ চলছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা ◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের

প্রকাশিত : ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:০৮ বিকাল
আপডেট : ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিরলে কৃষক ভবেশের মৃত্যু নিয়ে চলছে ব্যপক জল্পনা-কল্পনা

বিরল (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের বিরলে কৃষক ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু নিয়ে চলছে ব্যপক জল্পনা-কল্পনা। কেউ বলছেন হত্যা আবার কেউ কেউ বলছেন স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে যাই হোকনা কেন ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে ঘটনার আসল রহস্য বেরিয়ে আসলে বলে মনে করছেন অনেকে।

এদিকে সুরত হাল ও ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার সন্ধ্যায় পারিবারিকভাবে ভবেশের দাহ সম্পন্ন করা হয়েছে।
অপরদিকে ঘটনার দুইদিন পার হতে চললেও এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভবেশের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোন প্রকার মামলা দায়েরের খবর পাওয়া যায়নি।

জানাগেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫ টার উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র বাসুদেবপুর গ্রামের মৃতঃ তারকানন্দ রায়ের ছেলে কৃষক ভাবেশ চন্দ্র রায় (৫২) কে সুস্থ্য অবস্থায় ২টি মোটরসাইকেল যোগে ৪ জন যুবক বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে যায়। ৪-৫ ঘন্টা পর রাতে তারা মুঠোফোনে ভবেশের পরিবারকে জানায়, ভবেশ পান সিগারেট খাওয়ার পর ভিষন অসুস্থ্য হয়ে গেছে। তোমরা ফুলবাড়ী হাটে আসো তাকে হাসপাতালে নিতে হবে। পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে ভবেশকে ফুলবাড়ি হাট থকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে এ্যাম্বুলেন্সযোগে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এসময় কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতেই খবর পেয়ে বিরল থানা পুলিশ কৃষক ভবেশের লাশ উদ্ধার করে সুরত হাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।

এব্যাপারে মৃতঃ ভবেশের স্ত্রী স্বাত্ত¡না রাণী জানান, রতন, আতিকরা সুস্থ্য অবস্থায় হামার বাড়িওলাটাক নিয়া গেইছে। তাহা হইলে বাড়ীওয়ালাটা (স্বামী) সুস্থ্য অবস্থায় বাড়িত আসিলে নাই ক্যানে বা? আর কি কিহমো বা, যদি কহিবা যাই মোর কোন ক্ষতি হয়। মোর একটায় ছোওয়া বা। পরে যদি কহে ওয় আইনত গেইছে, এইটা কহিসে, ওইটা কহিসে। তখন যদি মোর ছোওয়ালের কোন সমস্যা হয়। স্বামী হারানু। এখন আর মোর ব্যটাটা ছাড়া কেহ নাই বা। এই বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

এলাকাবাসী মনে করছেন, হত্যা বা স্বাভাবিক মৃত্যু যাই হোকনা কেন, আমরা এই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার হওয়া দরকার। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়