বাংকার বাস্টার বোমা নিয়ে হঠাৎ করেই উড়ে এসে ইসরায়েলের মাটিতে নেমেছে বেশ কয়েকটি মার্কিন বিমান। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ৯টি মার্কিন সামরিক পরিবহন বিমান অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম কানের বরাতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেলআবিবের কাছে একটি ইসরায়েলি বিমানঘাঁটিতে ওই বিমানগুলো অবতরণ করে। প্রতিটি বিমানই বাংকার বাস্টার বোমা দিয়ে বোঝাই ছিল।
কান জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলীয় ইসরায়েলের তেল আবিবের কাছে নেভাতিম বিমানঘাঁটির অবস্থান। সেখানেই বাংকার বাস্টার বোমা ও অন্যান্য প্রতিরক্ষা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ৯টি মার্কিন পরিবহন বিমান অবতরণ করেছে।
হঠাৎ করে কেন এত এত বোমা নিয়ে ইসরায়েলে মার্কিন বিমান অবতরণ করল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা-কল্পনা।
ধারণা করা হচ্ছে, তেহরান-ওয়াশিংটনের মধ্যে পরমাণু আলোচনা ব্যর্থ হলে যৌথ হামলা চালাতে পারে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল। আর সে ভাবনা থেকেই হয়তো ওই বোমা সেখানে মজুত করা হচ্ছে। অবশ্য এ নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযানে গতকাল শুক্রবার ভোর থেকে রাত পর্যন্ত নিহত হয়েছেন অন্তত ৬৪ জন এবং আহত হয়েছেন আরও বহুসংখ্যক।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আলজাজিরা।
হামলায় বসতবাড়ি, তাঁবুর শিবির এবং একটি সেলুন ধ্বংস হয়েছে।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় এখনই খাদ্য প্রয়োজন। কারণ সেখানে শত-সহস্র মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। ইসরায়েলি অবরোধের কারণে খাদ্য সহায়তা প্রবেশ করতে পারছে না।
আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি জানান, টানা হামলা আর খাদ্যসংকটে মানুষ মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে।