আনন্দবাজার: সম্প্রতি নোটিসগুলির ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন এক নেট ব্যবহারকারী। রেস্তোরাঁটির এই পদক্ষেপ প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। পোস্টটি ৪,০০,০০০-এরও বেশি মানুষ দেখেছেন, পোস্টের নীচে ১,৭০০-রও বেশি মন্তব্য করা হয়েছে।
ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধের আবহে আমেরিকার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল চিনা রেস্তোরাঁও! সিঙ্গাপুরের চায়নাটাউনে একটি চিনা রেস্তোরাঁর বাইরে নোটিস টাঙিয়ে জানানো হয়েছে, এখন থেকে ওই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে আসা আমেরিকানদের খাবারের দামের উপর ১০৪ শতাংশ বাড়তি কর দিতে হবে। নোটিসটি প্রকাশ্যে আসতেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে বিতর্কের ঝড়।
সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নিউজ এশিয়ার এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, আমেরিকা-চিন শুল্কযুদ্ধের আবহে সিঙ্গাপুরের প্যাগোডা স্ট্রিটের ‘শি লাও সং’ নামে এক রেস্তোরাঁর সামনের দরজায় সাঁটানো দু’টি কাগজের টুকরোয় লেখা বার্তাগুলি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে ইংরেজি এবং চিনা উভয় ভাষাতেই লেখা, ‘‘৯ এপ্রিল থেকে এই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে আসা আমেরিকানদের থেকে ১০৪ শতাংশ অতিরিক্ত কর নেওয়া হবে।’’ যদিও পরে সমালোচনার মুখে পড়ে বিতর্কিত নোটিসগুলি সরিয়ে দেন রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ।
সম্প্রতি নোটিসগুলির ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে পোস্ট করেন এক নেট ব্যবহারকারী। রেস্তোরাঁটির এই পদক্ষেপ প্রকাশ্যে আসতেই আলোচনা শুরু হয়েছে নানা মহলে। পোস্টটি ৪,০০,০০০-এরও বেশি মানুষ দেখেছেন, পোস্টের নীচে ১,৭০০-রও বেশি মন্তব্য করা হয়েছে। কেউ কেউ এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। কেউ আবার বলেছেন, এ ধরনের আচরণ একটি নির্দিষ্ট দেশের বাসিন্দাদের প্রতি বৈষম্যমূলক। প্রসঙ্গত, সিঙ্গাপুর আমেরিকা থেকে আমদানিকৃত পণ্যে কোনও শুল্ক না চাপালেও সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের পণ্যের উপরেও ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন মুলুক। তবে, সিঙ্গাপুরের জনসংখ্যা ষাট লক্ষের কাছাকাছি, যার ৭৪ শতাংশই চিনা বংশোদ্ভূত। আর চিনা পণ্যের উপর মোট ১৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চিনও মার্কিন পণ্যের উপর শুল্কের পরিমাণ বৃদ্ধি করেছে। এত দিন মার্কিন পণ্যের উপর ৮৪ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল বেজিং। কিন্তু এ বার তা বাড়িয়ে ১২৫ শতাংশ করা হচ্ছে।