এস এম সালাহউদ্দিন, আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার আতংকের নাম ছিল তিনটি বন্যহাতি ৷ হাতি তিনটির আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছিল দক্ষিণ চট্টগ্রামের এই দুই উপজেলা। বর্তমানে হাতি তিনটি আনোয়ারা কর্ণফুলী তে নেই৷ হাতিগুলোর বর্তমান অবস্থান আনোয়ারার পাশে বাঁশখালী উপজেলায়৷
জানা যায়,গত বৃহস্পতিবার রাতে,দুইটা হাতি প্রকৃতিক ভাবে বাঁশখালীতে পৌঁছান,তারপর বাকি একটি রিস্কিউ টিম ও বন বিভাগের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় রবিবার মধ্যরাতে এটিও বাঁশখালী নিয়ে যাওয়া হয়৷ এই হাতি গুলার আক্রমণে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলার নবজাতক শিশু সহ অনেক মানুষ নিহত ও আহত হয়েছিলো ৷
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঁশখালী জলদি রেঞ্জ কর্মকর্তা আনিসুজ্জান জানান, আনোয়ারা কর্ণফুলী থেকে দুইটি হাতি প্রকৃতিকভাবে বাঁশখালীতে চলে আসেন। এরপর আমাদের টিমের সঙ্গে কথা বলে আরেকটি হাতি যেটা আছে সেটিও রবিবার ভোর রাতে আমাদের রিস্কিউ এর সহযোগিতায় বাঁশখালীতে আনতে সক্ষম হই। মোট আনোয়ারা কর্ণফুলী থেকে তিনটি হাতি বাঁশখালীতে আসছে কিন্তু যেকোন সময় আবার হাতি আনোয়ারা কর্ণফুলীতে চলে যেতে পারে ৷
এ ব্যাপারে কেইপিজেডের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মুশফিকুর রহমান জানান, বর্তমানে আমাদের কেইপিজেট থেকে হাতি মুক্ত, হাতি গুলো কেইপিজেট থেকে চলে গেলেও,আমাদের ধারণা যে কোন মুহূর্তে আবার চলে আসতে পারে, কিন্তু আমাদের জোড়ালো দাবি থাকবে হাতি এগুলো যাতে না আসতে পারে৷ কারন আনোয়ারা কর্ণফুলী দুই উপজেলায় ঘনবসতি হওয়ার কারণে হাতিগুলা লোকালয়ে ক্ষতি করতেছে৷