গৃহযুদ্ধের কৌশলের অংশ হিসেবে সুদানে ভয়াবহ যৌন সহিংসতা এবং গণধর্ষণ চালাচ্ছে সুদানের আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রকাশিত ৩০ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এ কথা জানায়।
অ্যামনেস্টি আরএসএফকে 'সারা দেশে লোকদের অপমানিত, নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা এবং স্থানচ্যুত করার জন্য ব্যাপক যৌন সহিংসতা' চালানোর জন্য অভিযুক্ত করেছে।
অ্যামনেস্টির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডিপ্রোস মুচেনা বলেছেন, আরএসএফ বেসামরিক নাগরিকদের, বিশেষ করে নারীদেরকে এই গৃহ যুদ্ধের সময় অকল্পনীয় নিষ্ঠুরতার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। অভিযোগগুলোর মধ্যে রয়েছে, খার্তুমে একজন নারীকে ৩০ দিন যৌন দাসি হিসেবে রাখা; সেই সঙ্গে গুরুতর মারধর, গরম পানি এবং ধারালো ব্লেড দিয়ে নির্যাতন ও হত্যা করা।
একজন ৩৪ বছর বয়সী পাঁচ সন্তানের মা তার ওপর চালানো অত্যাচারের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ২০২৩ সালের মে মাসে তাকে আরএসএফ ইউনিফর্ম পরা ৭ জন পুরুষ নিজ বাড়ি থেকে অপহরণ করেছিল। তার সঙ্গে আরও ৩ জন নারীকে বন্দী করা হয়।
তিনি বলেন, আমাকে সেই বাড়িতে ৩০ দিন আটকে রাখা হয়েছিল, যেখানে তারা প্রায় প্রতিদিনই আমাকে ধর্ষণ করতো।
ওমদুরমানে ধর্ষণের শিকার আরেক নারী বলেন, নারীরা এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন না বা অংশগ্রহণ করছেন না, তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নারীরা।
১৫ এপ্রিল ২০২৩ সাল থেকে আরএসএফ দেশটির নিয়ন্ত্রণের জন্য সুদানের সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে লড়াই শুরু করে। এটি বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটগুলোর একটি।