শিরোনাম
◈ সাগরে লঘুচাপ, যা জানালো আবহাওয়া অধিদপ্তর ◈ গাজা ইস্যুতে এবার রাজপথে নামছেন আজহারি, দেখুন ভিডিওতে ◈ যুক্তরাষ্ট্রের আরও ১০০ পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেবে বাংলাদেশ ◈ ‘বাটা কোনো ইসরায়েলি মালিকানাধীন কোম্পানি নয়, চেক প্রজাতন্ত্রে প্রতিষ্ঠিত’ ◈ সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেফতার ◈ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুরে জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির ◈ আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নেবো বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে, কমবে না: প্রেস সচিব ◈ প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকা আদায় অযোগ্য ঋণের পরিমাণ ◈ বিদেশ ভ্রমণে সরকারি কর্মকর্তাদের জরুরি নির্দেশনা ◈ পহেলা বৈশাখে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা মাউশির

প্রকাশিত : ০৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০৮:৩২ রাত
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

থার্ড টেম্পল কী? ইহুদিরা কেন আল আকসার জায়গায় থার্ড টেম্পল নির্মাণ করতে চায়?

মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান ও প্রথম কিবলা আল-আকসা প্রাচীন মসজিদগুলোর একটি। ইসলাম ও মুসলমানদের তৃতীয় পবিত্রতম স্থান। মিরাজের রাতে এই মসজিদেই নামাজ আদায় করেছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)। মক্কায় হজ ও ওমরাহ পালনের আগে আল-আকসা ছিল মুসলমানদের কাছে প্রধান ধর্মীয় স্থান।

ইহুদিরা এই আল আকসার জায়গাতেই বানাতে চায় তাদের থার্ড টেম্পল। কারণ তারা বিশ্বাস করে, ‘টেম্পল মাউন্টেই’ তাদের পয়গম্বর আব্রাহাম (নবী ইব্রাহিম আ.) তার পুত্র ইসমাইলকে উৎসর্গ করার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। তাদের বিশ্বাস মতে, এখানেই ছিল ইহুদিদের প্রথম ও দ্বিতীয় পবিত্র উপাসনালয়। 

 তারা মনে করে, তিন হাজার বছর আগে রাজা সুলেমান (হজরত সুলাইমান আ.) এখানে প্রথম উপাসনালয় নির্মাণ করেছিলেন। যেটি ধ্বংস করে দেয় ব্যাবিলনীয়রা।
 

থার্ড টেম্পল কী?

হযরত দাউদ (আ.)-এর সন্তান হযরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগরী প্রতিষ্ঠা করেন। আল্লাহ তাআ’লার মহিমা তুলে ধরতে তিনি সেখানে পুনর্নির্মাণ করে গড়ে তোলেন মুসলমানদের প্রথম কিবলা আল-আকসা মসজিদ।
 
হযরত সুলাইমান (আ.)-এর ইবাদাতগৃহ ইহুদিদের কাছে ‘ফার্স্ট টেম্পল’ নামে পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৫৮৯ অব্দে ব্যাবিলনের রাজা জেরুজালেম অবরোধ করেন। খ্রিন্টপূর্ব ৫৮৬ অব্দে ফার্স্ট টেম্পল ধ্বংস করে ফেলা হয়। ইহুদিদেরকে ওই সময় ব্যাবিলনে নির্বাসিত করে দেয়া হয়েছিল।
 
ব্যাবিলনের পতনের পর খ্রিস্টপূর্ব ৫৩৯ অব্দে পারস্যের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট ইহুদিদের কিংডম অব জুডাতে ফিরে আসার অনুমতি দেন। হিব্রু বাইবেল অনুযায়ী ৫৩৭ খ্রিস্টপূর্বাব্দে ফার্স্ট টেম্পলের জায়গায় ‘সেকেন্ড টেম্পল’ নির্মাণকাজ শুরু হয়। ৬৬ খ্রিস্টাব্দে ইহুদিরা রোমান সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করে। এরপর ৭০ খ্রিস্টাব্দে রোমান সেনাবাহিনী ‘সেকেন্ড টেম্পল’ ধ্বংস করে ফেলে।

২০০০ বছর ধরে ইহুদিরা তাদের স্বপ্নের ‘থার্ড টেম্পল’ বানানোর আশায় বসে আছে। ‘থার্ড টেম্পল’ তৈরি না করতে পারলে তাদের ‘মাসিহ’ দাজ্জালের আগমন হবে না- তারা এমনটাই বিশ্বাস করে। তাদের বিশ্বাস, ‘থার্ড টেম্পল’ তৈরি করার পরই তাদের ‘ত্রাণকর্তা’ দাজ্জালের আগমন ঘটবে। তা না হলে দাজ্জালের আগমন হবে না। 

দাজ্জাল এসে ইহুদিদের স্বর্ণযুগ ফিরিয়ে দিবে। ‘মসিহ, বিধাতার জন্য একখানা গৃহ নির্মাণ করবে’ (বাইবেলের পুরাতন নিয়ম, ১ খান্দাননামা ১৭:১১-১৫)। আর ইহুদিদের বিশ্বাস, তাদের উপাসনালয়ের অবস্থান ‘টেম্পল মাউন্টেই’ ঠিক যেখানটায় মসজিদুল আকসা তথা কুব্বাতুস সাখরা অবস্থিত, সেখানে।

বহু বছর আগে ‘থার্ড টেম্পলের’ নকশা তৈরি করে রেখেছে ইহুদিরা। এ নকশা বর্তমানে আল আকসার পাশেই একটি বাড়ির ছাদে ভিজুয়েলাইজেশন করে সাজিয়ে রেখেছে। এটার আকৃতিতেই তারা ‘থার্ড টেম্পল’ তৈরি করতে চায়। এ টেম্পল তৈরির জন্য বিভিন্ন ঐতিহাসিক জিনিসপত্র তাদের দরকার, বিভিন্ন মূল্যবান পাথর, তাদের পবিত্র হওয়া। তাদের পবিত্র হতে ‘লাল গাভী’ বলি দেয়ার বিষয়টাও বর্তমানে ওঠে এসেছে।
 
থার্ড টেম্পলের জন্যই কি ফিলিস্তিনে চলছে গণহত্যা  

তাদের টেম্পল তৈরি ও লাল গরু পুড়িয়ে ছাই করে পবিত্র হওয়ার জন্য তারা দুটি সংগঠন তৈরি করেছে। তার মধ্যে একটি টেম্পল ইনস্টিটিউট, অন্যটি বনেহ ইসরাঈল। এ দুই সংগঠন তাদের কাজ করে যাচ্ছে। ইসরাইল সরকার তাদের সব রকম সহযোগিতা করছে বলেও জানা যাচ্ছে। গত বছরই তারা লাল গাভী জবাই করে পবিত্র হওয়ার উৎসব শুরু করতে চেয়েছিল।

 ‘মিডল ইস্ট আই’ জানিয়েছে, হামাস যখন ইসরাইলের এই দূরভিসন্ধির কথা জানতে পেরেছে; তখনই তারা ‘অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড’ এর পরিকল্পনা করে। গত ৭ অক্টোবর অভিযান পরিচালনা করে।
 
ইসরাইল এখনও তাদের লক্ষ্য সামনে রেখেই অগ্রসর হচ্ছে। এর ফল হিসেবে ফিলিস্তিনি জনপদ ধ্বংস করা হচ্ছে। লাখো ফিলিস্তিনির প্রাণহানি ঘটেছে। বর্বর হামলা ও গণহত্যার মধ্যদিয়ে ইহুদিরা নিজেদের সোনালী যুগে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়