দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতা বাড়ানোর কৌশল নিয়ে ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর সঙ্গে আলোচনা করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যৌথ উদ্যোগের উপায় খোঁজার বিষয়টিও তাদের আলোচনায় গুরুত্ব পায়।
বৈঠকটি এমন সময়ে অনুষ্ঠিত হলো, যখন সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি নিয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে আলোচনার খবর পাওয়া গেছে।
গত ২৪-২৫ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের আর্মি প্যাসিফিকের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জোয়েল পি ভাওয়েল বাংলাদেশ সফর করেন।
তার ওই সফরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদিত সামরিক সরঞ্জাম সংগ্রহের সম্ভাবনা নিয়ে ঢাকার সঙ্গে আলোচনা হয় বলে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল।
শুক্রবার রাতে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালকের এক্স অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলা হয়, “সিওএএস (চিফ অব আর্মি স্টাফ) জেনারেল উপন্দ্রে দ্বিবেদীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা এবং তারা বিভিন্ন ভূ-কৌশলগত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার, সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদারে যৌথ উদ্যোগের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।”
গতবছরের অগাস্টে বাংলাদেশে ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসন অবসানের পর থেকেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
এর মধ্যে বাংলাদেশের কয়েকটি সীমান্তে ভারতের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা নিয়ে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
এমন প্রেক্ষাপটে গত জানুয়ারিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীর বক্তব্যেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠে আসে।
১৩ জানুয়ারি ওই সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল দ্বিবেদী বলেছিলেন, প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্বেষ থাকলে কোনো পক্ষের জন্যই তা ভালো হবে না।
দুই দেশের সেনাবাহিনী পর্যায়ে সম্পর্কে কোনো সমস্যা নেই জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, রাষ্ট্রীয় সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা করা যাবে তখনই, যখন ‘নির্বাচিত সরকার’ থাকবে। সূত্র: বিডিনিউজ২৪