শিরোনাম
◈ ইউরোপের ২০ দেশের বৈঠক ইউক্রেনে সেনা পাঠানোর বিষয়ে, কী সিদ্ধান্ত হলো? ◈ ‘হাসনাত আব্দুল্লাহর স্ট্যাটাস শিষ্টাচার বহির্ভূত’ (ভিডিও) ◈ ব্যবসায়ীকে জিম্মি করে কোটি টাকা চাঁদা দাবি, ফাঁদ পেতে ধরা হলো তিনজন ◈ বেইজিংয়ের সঙ্গে আরও গভীর অর্থনৈতিক সহযোগিতার দিকে নজর ঢাকার ◈ ৩৩ জন বিজিবি সদস্য নিখোঁজের খবরটি গুজব ◈ সুন্দরবনের আগুন রাতের মধ্যেই সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বন বিভাগ ◈ এবার এরদোগানের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল তুরস্ক ◈ মাহমুদুর রহমানের আওয়ামী লীগের বিষয়ে ৩ প্রস্তাব ◈ কলকাতা নাইটরাইডার্সের বিরুদ্ধে জয় দিয়ে আইপিএল শুরু বেঙ্গালুরুর ◈ একজন আজ ফোন করে বলেছেন, ঢাকায় ফিরলে গ্রেপ্তার করা হতে পারে: রংপুরে জি এম কাদের

প্রকাশিত : ২১ মার্চ, ২০২৫, ০২:৫০ দুপুর
আপডেট : ২২ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বহুল আলোচিত হানি ট্র্যাপ কী?

সম্প্রতি হানি ট্র্যাপের শিকার হচ্ছেন বিশ্বের বহু মানুষ। এর ফলে হারিয়ে ফেলছেন নিজের মান, সম্পদ অনেক কিছু। এরইমাধ্য কর্ণাটকের মন্ত্রী কে এন রাজান্নার  হানি ট্র্যাপে পড়েছেন ভারতের প্রায় ৪৮ জন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ।

গত মঙ্গলবার বিধানসভায় দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই দাবি করেন।

কে এন রাজান্না বলেছেন, কেন্দ্রীয় নেতাসহ ভারতের প্রায় ৪৮ জন বড় রাজনীতিক হানি ট্র্যাপের শিকার হয়েছেন। তাদের মধ্যে মন্ত্রী-এমপিও রয়েছেন। তার এই মন্তব্যের পর রাজ্য ও জাতীয় রাজনীতিতে বেশ তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে বিষয়টির সত্যতা যাচাই করতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি করেছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

কে এন রাজান্নার ছেলে আইনসভার সদস্য রাজেন্দ্রও এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তিনি জানান, ছয় মাস ধরে ভারতের রাজনীতিবিদদের হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা চলছে। কেবিনেটমন্ত্রী ইতোমধ্যে বিবৃতি দিয়েছেন, তদন্ত হওয়া উচিত। আমি মনে করি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটির তদন্ত করবেন।’

কীভাবে মন্ত্রী-এমপিদের হানি ট্র্যাপে ফেলা হচ্ছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজেন্দ্র বলেন, ‘তারা হোয়াটসঅ্যাপে কল করবে অথবা একটি বার্তা দেবে। ছয় মাস ধরে এটি ঘটছে। আমরা দুই মাস ধরে এই সিন্ডিকেটকে ট্র্যাক করার চেষ্টা করছি। তদন্ত শেষ হতে দিন। সব জানতে পারবেন।’

গণপূর্তমন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা সতীশ জারকিহোলি বলেছেন, হানি ট্র্যাপের চেষ্টা নতুন কিছু নয়। কয়েক ব্যক্তি এটিকে রাজনীতিতে বিনিয়োগ হিসেবে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, এর আগে একজন মন্ত্রীকে দু-দুবার হানি ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি।’

সতীশ জারকিহোলি আরও বলেন, ‘আমরা ওই মন্ত্রীকে অভিযোগ দায়ের করতে বলেছি। শুধু একটি অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে আমরা জানতে পারব কেন এই কার্যকলাপগুলো ঘটছে। যদি তারা অভিযোগ করেন, আমরা খুঁজে বের করব, এর পেছনে কারা রয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এটি নিয়ে আলোচনা করব। এটি শুধু আমাদের দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; এটি সব দলেই ঘটে।’

কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরা বলেন, তিনি এ ধরনের অভিযোগে অবগত নন। সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছ থেকে তথ্য চাইবেন। তিনি বলেন, ‘আমি বিভাগ থেকে কিছু তথ্য চাইব। এখন পর্যন্ত কেউ আমাদের কিছু বলেনি। আমি এসব কিছুই জানি না। বিভাগ আমাদের জানালেই আমি জানতে পারব।’

হানি ট্র্যাপ কী:  ১৯৭৪ সালে ব্রিটিশ-আইরিশ লেখক জন লে ক্যারের ‘টিঙ্কার, টেইলর, সোলজার, স্পাই’ নামে এক গোয়েন্দা উপন্যাসে প্রথম ‘হানি ট্র্যাপ’ শব্দটি ব্যবহৃত হয় বলে বিভিন্ন লেখাপত্রে পাওয়া যায়।

হানি ট্র্যাপ মূলত একধরনের অপকৌশল। বাংলা অনুবাদে একে ‘প্রেম বা ভালোবাসার ফাঁদ’ নামে অভিহিত করা যেতে পারে। সহজ কথায় এটা হলো, যৌনতার প্রলোভন দেখিয়ে কাউকে ব্লাকমেইল করা। এ ছাড়া যৌনতা ও শারীরিক সম্পর্কের প্রলোভন দেখিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার নামই হানি ট্র্যাপ। তবে নিছক মজা করার জন্য এই ফাঁদ পাতা হয় না, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি—রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী বা গোয়েন্দাদের কাছ থেকে তথ্য হাতিয়ে নেওয়া এর প্রধান উদ্দেশ্য। উৎস: যুগান্তর।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়