সাত মাস আগে ইন্দোনেশিয়ার এক নারী কুমিরের ভয়াবহ আক্রমণ থেকে প্রাণে বেঁচে ফিরেছিলেন। দীর্ঘ চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে তিনি জানালেন সেই লোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা।
ইন্দোনেশিয়ার উপকূলীয় শহর মামুজিতে বসবাস করেন মুনির্পা নামে এক নারী। ভোরবেলায় তিনি বাড়ির পেছনের একটি খালে আবর্জনা ফেলতে যান। কিন্তু সেদিন ঘটে এক ভয়ংকর দুর্ঘটনা।
আবর্জনা ফেলে বাড়ির দিকে ফিরে আসার মুহূর্তে, ১৩ ফুট লম্বা একটি বিশাল আকৃতির কুমির অতর্কিতে তাঁকে আক্রমণ করে। ভয়ঙ্কর ওই জন্তুটি হিংস্রভাবে মুনিরার শরীর কামড়ে ধরে এবং টেনে নিয়ে যেতে থাকে। কুমিরের ধারালো দাঁতে তাঁর শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়।
বেদনায় কাতর হয়ে চিৎকার করতে থাকেন মুনির্পা। তাঁর আতঙ্কিত চিৎকার শুনে স্বামী দ্রুত ছুটে আসেন। কিন্তু এসে দেখেন, স্ত্রীকে কুমির প্রায় গিলে ফেলেছে—শুধু মাথাটি দৃশ্যমান।
স্ত্রীর এমন ভয়াবহ অবস্থা দেখে কোনো কিছু না ভেবেই দৈত্যাকার কুমিরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। প্রাণপণ লড়াই করে তিনি শেষ পর্যন্ত স্ত্রীকে কুমিরের মুখ থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন।
তবে গুরুতর আহত অবস্থায় মুনির্পাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও অবস্থা ছিল সংকটাপন্ন। তাঁকে দুটি বড় অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলে তাঁর চিকিৎসা ও পুনর্বাসন।
সম্প্রতি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে মুনির্পা বলেন, "আমি আর কখনো সমুদ্রে যেতে চাই না, এমনকি বাড়ির পেছনেও একা যেতে সাহস পাই না। আমার সন্তানদেরও নদী বা সমুদ্রের আশেপাশে যেতে নিষেধ করেছি। আমি চাই না আমার পরিবারের কেউ এই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হোক।"