শিরোনাম
◈ সরকারকে বাইরে থেকে দেখা আর ভেতর থেকে দেখা সম্পূর্ণ আলাদা অভিজ্ঞতা, দ্য ডিপ্লোম্যাটকে নাহিদ ইসলাম ◈ পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে কমিটি ◈ করমুক্ত আয় সীমা ৫ লাখ টাকা করার দাবি ঢাকা চেম্বারের ◈ যুক্তরাজ্য থেকে ১৩৭৬ কোটি টাকায় দুই কার্গো এলএনজি কিনছে সরকার ◈ সায়েদাবাদ পানি শোধনাগারের জন্য ১৫১৩ কোটি টাকা অনুমোদন ◈ ক্রমবর্ধমান ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনায় অস্ত্র আমদানিতে ভারতের কৌশলগত পরিবর্তন ◈ অপরাধ প্রতিরোধে মহানগরীর অলিতে গলিতে মোটরসাইকেল টহল আরও বাড়ানো হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ দিনে কেউ ফল বিক্রেতা-অটোরিকশাচালক, রাতে ডাকাত (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার মিথ্যা তথ্য পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্রে: মার্কিন সিনেটর গ্যারি পিটার্স  ◈ স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৫ হাজার

প্রকাশিত : ১৮ মার্চ, ২০২৫, ১১:০১ দুপুর
আপডেট : ১৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম চীনে ডার্ক ফ্যাক্টরি!

বিশ্বের উৎপাদন শিল্পে এক নতুন বিপ্লব শুরু হয়েছে, যার নেতৃত্বে রয়েছে চীন। আধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় ‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এখন বাস্তবতা। এসব কারখানা মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম, ফলে উৎপাদন হচ্ছে দ্রুত, নির্ভুল এবং সর্বোচ্চ দক্ষতায়।

ডার্ক ফ্যাক্টরি কী?
‘ডার্ক ফ্যাক্টরি’ এমন এক উচ্চ প্রযুক্তির উৎপাদন কেন্দ্র যেখানে কোনো শ্রমিক কাজ করে না। রোবট, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI), ইন্টারনেট অব থিংস (IoT) এবং স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে পুরো কারখানার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। যেহেতু এখানে মানুষের উপস্থিতি প্রয়োজন নেই, তাই আলো ছাড়াই এসব কারখানা চলে, ফলে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।

স্বয়ংক্রিয় কারখানার মূল বৈশিষ্ট্য
১. সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় উৎপাদন ব্যবস্থা: কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে প্যাকেজিং পর্যন্ত সব কাজ রোবট ও স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রপাতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, ফলে উৎপাদন হয় দ্রুত ও নিখুঁত।

২. বুদ্ধিমান মেশিন নেটওয়ার্ক: IoT ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে কারখানার সব যন্ত্র একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেয় এবং প্রয়োজনে মেরামত প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করে।

৩. AI-চালিত গুণমান নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি পণ্যের মান পর্যবেক্ষণে অত্যাধুনিক মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়, যা ত্রুটি নির্ণয় ও অপচয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।

৪. পরিবেশবান্ধব উৎপাদন: শক্তি ব্যবস্থাপনা প্রযুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে।

শিল্প খাতে বিনিয়োগ ও পরিবর্তন
বিশ্বজুড়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্বয়ংক্রিয় কারখানায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে। স্মার্টফোন, গাড়ি, ওষুধসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে এসব কারখানার ভূমিকা বাড়ছে। চীনের পাশাপাশি অন্যান্য দেশেও এই প্রযুক্তি ছড়িয়ে পড়ছে, যা শিল্প খাতে এক নতুন প্রতিযোগিতার দ্বার উন্মোচন করেছে।

কর্মসংস্থান ও ভবিষ্যৎ প্রভাব
যদিও স্বয়ংক্রিয় কারখানা মানবশ্রম কমিয়ে দিচ্ছে, তবে এর ফলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, রোবটিক্স ও ডেটা সায়েন্সের মতো খাতে দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বাড়ছে। ফলে শ্রমিকদের নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সূত্র: বিডিপ্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়