শিরোনাম
◈ সাতক্ষীরায় এবার হাসপাতালের বিলবোর্ডে হঠাৎ ভেসে উঠল ‘আওয়ামী লীগ আবার ফিরবে’! ◈ উত্তর কোরিয়া ও চীনের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করছে জাপান ◈ মানুষের সম্পৃক্ততা ছাড়াই ২৪ ঘণ্টা কাজ করতে সক্ষম চীনে ডার্ক ফ্যাক্টরি! ◈ আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না এবং কারো কাছে মাথানত করি না: আনসারুল্লাহ নেতা ◈ ভারতীয় গণমাধ্যম হামজা চৌধুরীকে নিয়ে কী বলছে?  ◈ বিপাকে পিসিবি, চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনে খরচ ৯৩ মিলিয়ন ডলার, আয় হলো ৬ মিলিয়ন ◈ এনসিপির গঠন থেকে বেরিয়ে আসা শিবিরের সাবেক নেতাদের আরেকটি রাজনৈতিক সংগঠন কেন, কী চায় তারা ◈ পিসিবি সঠিক সিদ্ধান্ত না নিলে পাকিস্তানের ক্রিকেট আরো পতনের দিকে যাবে:  ইনজামাম ◈ দেশের তিন অঞ্চলে ঝড়ের আশঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত ◈ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৯ শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০৫:০১ সকাল
আপডেট : ১৭ মার্চ, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাশিয়াকে নতুন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারি জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের

জি-৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা সমর্থন এবং রাশিয়াকে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতিতে ঐকমত্য পৌঁছেছেন। শুক্রবার (১৪ মার্চ) এই ঐকমত্যের মাধ্যমে তারা রাশিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যুদ্ধবিরতি মেনে না নিলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে। 

এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন এক সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্ররা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পশ্চিমা বাণিজ্য, নিরাপত্তা এবং ইউক্রেন-সংক্রান্ত নীতির বিরুদ্ধে উত্তেজনার মধ্যে রয়েছেন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রাম্পের নীতির কারণে জি-৭ দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছিল। জি-৭ কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছিলেন যে, বিশ্বজুড়ে ভূরাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে একটি সর্বসম্মত বিবৃতি তৈরি করা সম্ভব হবে না। তাদের মতে, এই বিভক্তি রাশিয়া ও চীনের স্বার্থে কাজ করতে পারে। 

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সাংবাদিকদের বলেন, আমি মনে করি আমরা একটি শক্তিশালী বিবৃতি দেওয়ার পথে আছি। আমি নিশ্চিত যে তা সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আমরা আলোচনা করেছি এবং আমাদের লক্ষ্য ছিল জি-৭-এর ঐক্য বজায় রাখা।

যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও কানাডার কুইবেকের পাহাড়ঘেরা লা মালবাই শহরে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার বৈঠকে মিলিত হন। এই বৈঠকটি ঐতিহাসিকভাবে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের জন্য পরিচিত। তবে কানাডার সভাপতিত্বে প্রথম জি-৭ বৈঠকের আগে ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য এবং চীন সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহারের যুক্তরাষ্ট্রের দাবি নিয়ে বিবৃতি তৈরিতে বেশ কিছু বাধার সম্মুখীন হয়েছিল। 

চূড়ান্ত খসড়ায় জি-৭ দেশগুলো ইউক্রেনের ভূখণ্ডগত অখণ্ডতা, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অস্তিত্ব রক্ষায় তাদের অটল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে।

আগের একটি খসড়ায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিত করতে নিরাপত্তা গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করা হলেও চূড়ান্ত বিবৃতিতে তা ‘আশ্বাস’ শব্দ দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। তবে তারা মস্কোকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, যদি তারা কিয়েভের মতো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হয়, তাহলে তেলের দাম সীমাবদ্ধ করাসহ নতুন নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হতে হবে। 

জি-৭ সদস্যরা রাশিয়াকে একই ধরনের শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার এবং তা পুরোপুরি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, যেকোনও যুদ্ধবিরতি মেনে চলতে হবে এবং ইউক্রেন যেন কোনও নতুন আগ্রাসন প্রতিহত ও প্রতিরোধ করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে শক্তিশালী ও বিশ্বাসযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োজন।

যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন সংক্রান্ত ভাষায় কিছু সীমারেখা টানার চেষ্টা করেছিল, যাতে রাশিয়ার সঙ্গে তাদের আলোচনা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এছাড়া তারা রাশিয়ার তথাকথিত ‘শ্যাডো ফ্লিট’ (নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর জন্য ব্যবহৃত জাহাজ নেটওয়ার্ক) নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি পৃথক ঘোষণার বিরোধিতা করেছিল। পাশাপাশি তারা চীন সম্পর্কে কঠোর ভাষা ব্যবহারের দাবি জানিয়েছিল। 

চূড়ান্ত ঘোষণাপত্রে জি-৭ দেশগুলো তাইওয়ান প্রণালিতে বলপ্রয়োগ বা চাপ প্রয়োগ করে একতরফাভাবে স্থিতাবস্থা পরিবর্তনের যে কোনও প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেছে। এই ভাষা তাইপেইয়ের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হতে পারে। 

গাজা ও মধ্যপ্রাচ্য, বিশেষ করে ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের দুই রাষ্ট্র সমাধান সংক্রান্ত ভাষা নিয়েও বিতর্ক হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র এই ধারণার বিরোধিতা করেছিল। চূড়ান্ত খসড়ায় দুই রাষ্ট্র সমাধানের কথা উল্লেখ করা হয়নি, যদিও আগের খসড়ায় এর গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছিল। 

চূড়ান্ত খসড়ায় বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি রাজনৈতিক দিক নির্দেশনা, যা ইসরায়েল-ফিলিস্তিন আলোচনার মাধ্যমে অর্জন করা যেতে পারে। এই সমাধান উভয় পক্ষের বৈধ চাহিদা ও আকাঙ্ক্ষা পূরণ করবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি এগিয়ে নেবে। উৎস: বাংলাট্রিবিউন।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়