কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন জাস্টিন ট্রুডো। দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন মার্ক কার্নি। শুক্রবার কার্নির সঙ্গে নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরাও কাল শপথ নেন। খবর বিবিসির।
অর্থনীতিবিদ মার্ক কার্নি কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক প্রধান। তিনি ব্যাংক অব ইংল্যান্ডেরও নেতৃত্ব দিয়েছেন। কানাডায় গত রোববার সদস্যদের ভোটে লিবারেল পার্টির নতুন নেতা বাছাই করা হয়। এতে কার্নি ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। সোমবার অটোয়ায় জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, ক্ষমতা হস্তান্তর নির্বিঘ্ন ও দ্রুত হবে।
মার্ক কার্নি শপথ গ্রহণের আগে গভর্নর জেনারেল ম্যারি সাইমনের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দেন জাস্টিন ট্রুডো। তিনি প্রায় ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পর গত জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনমত জরিপে দলের খারাপ অবস্থা উঠে আসার পর তিনি দায়িত্ব ছাড়তে চাপে ছিলেন। সে সময় থেকেই দেশের নেতৃত্ব কার হাতে যাবে, তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তুলনামূলক কম বয়সে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তাক লাগিয়ে দেন ট্রুডো। তিনি গড়ে তোলেন লিঙ্গসমতাভিত্তিক মন্ত্রিসভা। নিজেকে পরিচিত করে তোলেন নারীবাদী, পরিবেশবাদী এবং শরণার্থী ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর অধিকারকর্মী হিসেবে। তবে তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমেই কমছিল। বিশেষ করে আবাসন সংকট এবং জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয়ের কারণে চাপের মুখে পড়েছিলেন ট্রুডো। গত সেপ্টেম্বরে তাঁর ক্ষমতা আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। পদত্যাগের জন্য বিরোধীদের পাশাপাশি নিজ দলের মধ্য থেকে চাপ বাড়তে শুরু করে। একই সঙ্গে কার্নির ভাবমূর্তি বাড়তে থাকে।
দেশটিতে ‘নিরবচ্ছিন্ন ও দ্রুত’ পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উদারপন্থি নেতা ৫৯ বছর বয়সী মার্ক কার্নি। তিনি রাজনীতিতে নবীন। নির্বাচনে জয়ী হয়ে কার্নি বলেন, ‘কানাডার জন্য এখন গুরুত্বপূর্ণ সময়।’ যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে জয়ী হওয়ার আত্মবিশ্বাস দেখান তিনি।