শিরোনাম
◈ ভারতের সেনাপ্রধান শেখ হাসিনার ফেরা নিয়ে মন্তব্য করেছেন কি? ◈ নওফেল, বিপ্লবকে ১০ কোটি টাকায় পালানোর সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগ সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে! ◈ তিন মাসের শিশুকে জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ◈ ঘুষকাণ্ডে অভিযুক্ত আদানির কাছে মার্কিন সমন পৌঁছে দেবে ভারত ◈ ট্রুডোর পদত্যাগ, শপথ নিলেন মার্ক কার্নি ◈ সীমান্তবর্তী তিন উপজেলায় অবাধে ব্যবহার হচ্ছে ভারতীয় সিম! ◈ একই বছরে আসবে দুইবার রমজান, তিনবার ঈদ! ◈ ওসি বদলির খবরে থানায় পাওনাদারের ভিড়! ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈ রাজধানীর তুরাগ থেকে হিজবুত তাহরীরের সক্রিয় সদস্য সানাউল্লাহ গ্রেফতার 

প্রকাশিত : ১৪ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০৭ রাত
আপডেট : ১৫ মার্চ, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চাকরির টোপ দিয়ে বাংলাদেশি নারীদের ভারত পাচার, মূল হোতার হসিদ মিলেছে যেখানে

বাংলাদেশ থেকে জামাকাপড়় সেলাইয়ের দোকান, বিউটি পার্লার, ইস্পাত কারখানা পরিচারিকার কাজসহ বিভিন্ন জায়গায় বেশি বেতনে চাকরির টোপ দিয়ে বাংলাদেশি নারীদের পাচার করা হত ভারতে। তার পরে তাদের জোর করে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হত বলে অভিযোগ।

হায়দরাবাদে এমন একটি চক্রের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। দেহ ব্যবসা সংক্রান্ত এক মামলার তদন্তে  এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) জানিয়েছে, বাংলাদেশের নারী পাচারের  কাজে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকার কিছু দালালকে ব্যবহার করতেন হায়দরাবাদের  চক্রের মাথারা। 

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইডি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হায়দরাবাদ এবং সংলগ্ন এলাকায় হানা দিয়ে মানবপাচার চক্রের সন্ধান পায় পুলিশ। অভিযোগ সেখানে দেহব্যবসা চলত।  ইডি জানিয়েছে, হায়দরাবাদে এই চক্রটি মূলত বাংলাদেশিরাই চালাতো বলে পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে। এই নিয়ে তেলেঙ্গানা পুলিশ প্রথমে দু’টি পৃথক এফআইআর রুজু করে তদন্ত শুরু করে। সেই সূত্র ধরে অর্থ তছরুপের মামলায় তদন্ত শুরু করে ইডিও। পরে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)-ও এই মামলার তদন্তে নামে। ইডি বিবৃতিতে জানিয়েছে, এনআইএ মামলার তদন্ত শুরুর পরে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে এবং ধৃতদের মধ্যে বেশির ভাগই বাংলাদেশি। ভুয়ো নথিতে তাঁরা ভারতে বাস করছিলেন বলে অভিযোগ। বেশ কয়েকজন গ্রেফতার হওয়ার পরেও বাংলাদেশ থেকে নারীদের ভারতে পাচার করার এই চক্রটি সক্রিয় ছিল ।

এই মামলায় একটি এফআইআরে ইতিমধ্যে এনআইএ বিশেষ আদালত ছয় দোষীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করেছে ।
ইডির তদন্তে উঠে আসে, এই চক্রের সঙ্গে বেশ কিছু এজেন্টও জড়িত। আর্থিক লেনদেনের জন্য তাঁরা বিভিন্ন ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট এবং ‘অনলাইন ওয়ালেট’ ব্যবহার করত। বাংলাদেশি নারীদের পাচারের জন্য ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে সক্রিয়  দালালদের মাথাপিছু ৪-৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হত।

বিবৃতিতে তদন্তকারী সংস্থা জানিয়েছে, কখনও কখনও নগদেও লেনদেন করা হত। টাকা পাঠানো হত বাংলাদেশেও। তদন্তে ইডির দাবি, কখনও কখনও মোবাইল ব্যাংকিং পরিষেবা ‘বিকাশ’ও ব্যবহার করত এই চক্র। উৎস: মানবিজমনি।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়