শুল্ক নিয়ে আগেও একাধিক বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। বার বার বলেছেন, ‘‘আমেরিকার কাছ থেকে বড্ড বেশি কর নেয় ভারত।’’ নয়াদিল্লির উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
ভারতের শুল্কনীতি নিয়ে আবার অসন্তোষ প্রকাশ করল আমেরিকা। সেখানকার মদের উপর ভারত ১৫০ শতাংশ কর নিয়ে থাকে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেস সচিব ক্যারোলিন লিভিট। চড়া শুল্কের কারণে ভারতের বাজারে মদের ব্যবসা করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন তিনি। অভিযোগ, আমেরিকার কৃষিজ পণ্যের উপরেও ভারত বেশি শুল্ক নিয়ে থাকে। পাশাপাশি আরও দুই দেশের শুল্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্যারোলিন। শুল্কের ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে নীতি নিয়েছেন, তা কতটা যথাযথ, ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্যারোলিন জানান, ভারত-সহ একাধিক দেশ আমেরিকান পণ্যের উপর অত্যধিক শুল্ক নিয়ে থাকে। এত দিনে আমেরিকা এমন এক প্রেসিডেন্টকে পেয়েছে, যিনি আমেরিকানদের স্বার্থ সুরক্ষিত করছেন। মার্কিন প্রেস সচিব বলেন, ‘‘অনেক দেশ আমেরিকার পণ্যে চড়া শুল্ক নেয়। ভারতকেই দেখুন। আমেরিকার মদে ১৫০ শতাংশ শুল্ক নেয় ওরা! মার্কিন সংস্থা এর ফলে ভারতের বাজারে মদ বিক্রি করতে হিমশিম খাচ্ছে। ভারতের শুল্কনীতির ফলে আমাদের সংস্থার সুবিধা হচ্ছে বলে মনে হয়? আমার তো মনে হয় না।’’ আমেরিকার কৃষিজ পণ্যের উপর ভারত ১০০ শতাংশ কর নেয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চিন-জাপান থেকে আসা বিশেষ এক রাসায়নিকের উপর কর আরোপ, দেশের শিল্প বাঁচাতেই পদক্ষেপ, জানাল নয়াদিল্লি
ক্যারোলিন মূলত আমেরিকার প্রতিবেশী কানাডার শুল্ক নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। তিনি জানান, বছরের পর বছর ধরে ‘সাংঘাতিক হারে’ শুল্ক নিয়ে নিয়ে আমেরিকা এবং সেখানকার মানুষদের শুষে নিয়েছে কানাডা। তাঁর কথায়, ‘‘কানাডা যুগ যুগ ধরে আমেরিকা এবং তার পরিশ্রমী নাগরিকদের শুষে চলেছে। এটা বাস্তব। আমাদের প্রেসিডেন্ট এর জবাব দিচ্ছেন। কানাডা যে হারে আমেরিকার পণ্যের উপর শুল্ক চাপিয়ে রেখেছে, তা জঘন্য। মার্কিন মাখন এবং চিজ়ের উপর ওরা ৩০০ শতাংশ শুল্ক নেয়।’’
এর পরেই ভারত এবং জাপানের শুল্কের প্রসঙ্গ তোলেন ক্যারোলিন। বলেন, ‘‘জাপানকে দেখুন। চালের উপরও ৭০০ শতাংশ কর চাপিয়েছে! প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পারস্পরিক নীতিতে বিশ্বাস করেন। উনি আমেরিকান ব্যবসায়ী এবং শ্রমিকদের স্বার্থের কথা ভাবেন। বিভিন্ন দেশের মধ্যে বাণিজ্যে ভারসাম্য আনতে চান ট্রাম্প। দুর্ভাগ্যবশত, কানাডা আমাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে ভাল ব্যবহার করছে না।’’
শুল্ক নিয়ে আগেও একাধিক বার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। প্রকাশ্যে বার বার বলেছেন, ‘‘আমেরিকার কাছ থেকে বড্ড বেশি কর নেয় ভারত।’’ নয়াদিল্লির উপর পাল্টা শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরেই ট্রাম্প কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন। পরে সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়। তবে সম্প্রতি আবার মেক্সিকো এবং কানাডার পণ্যে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইতিমধ্যে চিনের পণ্যেও শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি।