বিলাসবহুল গাড়ি সেক্টরে কাজ করতেন যুবকটি। ভাড়া করা গাড়ি ব্যবহার করে ওই নারীদের লোভের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। নারীরা তাকে ধনী মনে করে বিয়েতে রাজি হওয়ার পর তাদের সর্বস্ব লুটে হারিয়ে যেতেন যুবকটি।
বিস্ময়কর এক কেলেঙ্কারি ঘটিয়ে চমকে দিয়েছেন ইরাকের ৩৫ বছরের এক যুবক। আট নারীকে প্রতারিত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। একের পর এক বিয়ে করে কয়েকদিন পরই তাদের তালাক দেন ওই যুবক। এরপরই ওই নারীর টাকা-পয়সা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান তিনি। গালফ নিউজ।
ওই যুবকের স্ত্রীদের একজনের মতে, বেশিরভাগ বিয়েই মাত্র কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়েছে। আর অন্যগুলো কয়েক মাস স্থায়ী হয়েছে।
আল-শারকিয়া টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তার এক স্ত্রী বলেছেন, আমার একটি গাড়ি ছিল। সে আমাকে বলল ওই গাড়িটি বিক্রি করে দিতে। যাতে আমরা সেই বিক্রয়মূল্য দিয়ে আমাদের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য জমি কিনতে পারি। গাড়ি বিক্রি করে সেই টাকা তার কাছে দেওয়ার দু’দিন পরই সে লাপাত্তা হয়ে গেল এবং কোনো ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ ছাড়াই আমাকে ডিভোর্স পেপার পাঠানো হলো।
এভাবে ধোঁকার শিকার সব নারী একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হয়ে তাদের অভিজ্ঞতা একে অপরের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। প্রায় সবার গল্পই ছিল এক ও অভিন্ন।
সেই আট নারীর সঙ্গে সামাজিক বিধি মেনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন ওই যুবক। বিয়ের সময় পরিবার পরিজনসহ সব আচার অনুষ্ঠানও করা হয়েছিল। এমনভাবে তাদেরকে ধোঁকা দেওয়া হয়েছে যা অবিশ্বাস্য।
ধোঁকার শিকার ওই নারীরা প্রত্যেকে বাগদাদসহ ইরাকের ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশের বাসিন্দা ছিলেন।
ইরাকের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে।