শিরোনাম
◈ বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রচারণায় শেখ হাসিনার প্রতি জোর: ভারত 'অন্তর্ভুক্তিমূলক' নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন ◈ সরকার সাবেক ৬৪ সচিবের আমলনামা যাচাই করবে ◈ ব্যবসায়ীকে স্ত্রীর সামনে কুপিয়ে হত্যা, বোমা ফাটিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট ◈ সারা দেশে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তালিকা হচ্ছে! ◈ ধনী মনে করে বিয়েতে রাজি হওয়ার পর সর্বস্ব লুটে ! ◈ এক যুগ পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ফের চ্যাম্পিয়ন হলো ভারত ◈ তামিম ইকবালের অপরাজিত শতকে মোহামেডানের বড় জয়  ◈ ঢাবি শিক্ষার্থীদের ধর্ষণ ও নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ মার্চ, ফিরতি ২৪ মার্চ ◈ যেই অপরাধী হোক তাকে আমরা ওখানেই গ্রেপ্তার করবো: তথ্য উপদেষ্টা

প্রকাশিত : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ০২:১৯ রাত
আপডেট : ০৯ মার্চ, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আসাদের অনুসারীদের সঙ্গে সরকারি বাহিনীর সংঘর্ষে সিরিয়ায় নিহত অন্তত ৩৪০

সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত বন্দুকধারী ও নিরাপত্তা বাহিনী গত বৃহস্পতিবার থেকে ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলের লাতাকিয়া ও তার্তুস অঞ্চলে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৩৪০ জনের বেশি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে নারী, শিশুসহ আলাউইত সংখ্যালঘুদের সংখ্যা বেশি বলে জানিয়েছে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি রয়টার্স।

অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদুর রহমান জানিয়েছেন, ‘জাবালে, বানিয়াস এবং আশপাশের এলাকাগুলোতে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড গত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের মধ্যে অন্যতম ভয়াবহ সহিংসতা।’

সিরিয়ার নতুন শাসকগোষ্ঠী সাবেক প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের সমর্থকদের সঙ্গে সম্পৃক্ত এক বিদ্রোহের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। বিদ্রোহীদের হামলার পর গত বৃহস্পতিবার থেকে দমন অভিযান শুরু হয়। যেখানে সরকারি বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যও প্রাণ হারিয়েছেন।

সিরিয়ার একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অভিযানের সময় কয়েক ডজন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।

সিরিয়ার কর্মকর্তারা অভিযানের সময় কিছু অনিয়মের কথা স্বীকার করেছেন। তবে তাঁরা দাবি করছেন, ‘বেসামরিক ও অসংগঠিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো’ এসব সহিংসতার জন্য দায়ী।

আজ শনিবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, উপকূলীয় এলাকার সব রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে; যাতে সহিংসতা না ছড়ায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এ ছাড়া একটি জরুরি কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা সামরিক আদেশ লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে সেনা আদালতে ব্যবস্থা নেবে।

আলাউইত সম্প্রদায়ের ডজনখানেক পুরুষকে এক গ্রামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, এমন খবরে উদ্বেগ বাড়ছে। আন্তর্জাতিক মহল আশঙ্কা করছে, সিরিয়ার নতুন ইসলামপন্থী শাসকগোষ্ঠী সকল সম্প্রদায়ের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হচ্ছে।

গত ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর সিরিয়ার অন্তর্বর্তী প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারা টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, ‘নিরাপত্তা বাহিনীকে অবশ্যই সংযত থাকতে হবে। আমাদের শত্রুর সঙ্গে পার্থক্য হলো, আমরা নৈতিকতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

আহমেদ আল-শারা আরও বলেন, ‘যদি আমরা আমাদের মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলি, তাহলে আমরা শত্রুর চেয়ে ভালো থাকব না।’

এদিকে সিরিয়ার উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারো আলাউইত ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের লোকজন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। এদের মধ্যে কয়েক শ নারী, শিশু ও বৃদ্ধ লাতাকিয়ার রুশ সামরিক ঘাঁটি হেমেইমিমে আশ্রয় নিয়েছেন।

একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বানিয়াস ও আশপাশের গ্রামগুলোতে লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হত্যাকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।

এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে সিরিয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে।

মানবাধিকারকর্মী আবদুর রহমান বলেন, ‘এটি আসাদের পক্ষে বা বিপক্ষে থাকার বিষয় নয়; বরং এটি সাম্প্রদায়িক হত্যাযজ্ঞ, যা আলাউইত সম্প্রদায়কে তাদের আবাসভূমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টা করছে।’

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও নিরাপত্তা সংস্থা বলেছে, এই অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চলছে। সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে যেকোনো সহিংসতা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়