রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর ডোবরোপিলিয়া ও খারকিভ অঞ্চলে কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। শনিবার (৮ মার্চ) ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে পাঁচজন শিশুও রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রুশ বাহিনী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, একাধিক রকেট ও ড্রোন দিয়ে ডোবরোপিলিয়ার ওপর হামলা চালায়। এতে ৮টি বহুতল ভবন ও ৩০টি যানবাহন ধ্বংস হয়।
টেলিগ্রামে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ‘আগুন নিভানোর সময় রুশ বাহিনী পুনরায় হামলা চালায়। এতে একটি অগ্নিনির্বাপক ট্রাক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
এছাড়াও খারকিভ অঞ্চলে পৃথক ড্রোন হামলায় আরও তিন বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং সাতজন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর খারকিভে দুটি ইস্কান্দার-এম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, একটি ইস্কান্দার-কে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ১৪৫টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
তবে ইউক্রেনের বিমান বাহিনী একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ৭৯টি ড্রোন ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। সামরিক বাহিনী আরও জানিয়েছে, ৫৪টি ড্রোন তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি, সম্ভবত ইলেকট্রনিক প্রতিরোধের কারণে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই ধরনের হামলা প্রমাণ করে যে রাশিয়ার লক্ষ্য অপরিবর্তিত রয়েছে। তাই আমাদের জীবন রক্ষা, আকাশ প্রতিরক্ষা শক্তিশালী করা এবং রাশিয়ার ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা জোরদার করা অত্যন্ত জরুরি।
শুক্রবার রুশ বাহিনী ইউক্রেনের জ্বালানি ও গ্যাস অবকাঠামোতে আঘাত হানে, যা ছিল মার্কিন গোয়েন্দা সহায়তা স্থগিত হওয়ার পর প্রথম বড় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ দ্রুত শেষ করতে চাইছেন। ফলে কিয়েভের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন সামরিক সহায়তা ও গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ হওয়ায় ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা দুর্বল হতে পারে এবং উন্নত ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাটতির কারণে হামলা প্রতিহত করা কঠিন হয়ে পড়বে।