২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। গত ১ বছরে (২০২৪ সালে) পূর্বের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে আশ্রয়ের জন্য আবেদন করেছেন ১ লাখ ৮ হাজার ১৩৮ জন আশ্রয়প্রার্থী। ইতিপূর্বের কোন বছরে এত আবেদন জমা পড়েনি। খবর: মানবজমিন।
২০২৩ সালের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় ওই বছরটিতে আশ্রয়ের জন্য আবেদনের সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৮১১ জন। শতকরা হিসেবে এক বছরে আবেদনের হার বেড়েছে ১৮ শতাংশ। তবে বছরে সর্বোচ্চসংখ্যক আবেদনের আগের রেকর্ডটি ঘটেছিল ২০০২ সালে। সে বছর জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশটিতে আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৩ হাজার ৮১ জন আশ্রয়প্রার্থী।
যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে এএফপি। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছে, ২০২৪ সালে যুক্তরাজ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন পাকিস্তানিরা। গত বছরে তাঁদের আবেদন জমা পড়েছে ১০ হাজার ৫৪২টি, যা মোট আবেদনের ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, চলতি একবিংশ শতকের শুরু থেকে অভিবাসন ইস্যুটি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে থাকে। অভিবাসন নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৯ সালের নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এসেছিল রক্ষণশীল দল কনজারভেটিভ পার্টি। তারপর ১৫ বছর ক্ষমতায় ছিল দলটি। এ সময়সীমায় বৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কনজারভেটিভ সরকার, কিন্তু এতে পরিস্থিতির তেমন পরিবর্তন হয়নি; বরং অভিবাসনের ধারা আগের মতো না হলেও অনেকাংশে অব্যাহত থেকেছে। গত বছরের নির্বাচনে জয়ী হয়ে নতুন সরকার গঠন করেছে সাবেক বিরোধী দল লেবার পার্টি, দলটির শীর্ষ নেতা কেয়ার স্টারমার হয়েছেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী। ক্ষমতা গ্রহণের পর অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে এ সংক্রান্ত আইনগুলো দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্টারমার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্বে আবেদন করেছেন কিন্তু এখনও সরকারের কাছে থেকে সাড়া পাননি- এমন আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা বর্তমানে ১ লাখ ২৪ হাজার ৮০২ জন। যুক্তরাজ্যের সীমান্ত সুরক্ষা এবং অভিবাসনমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা ইগল বলেছেন, আমরা শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব। আর বৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে ব্যাপারেও সিদ্ধান্তে আসব।