শিরোনাম
◈ সংশোধিত এডিপি অনুমোদন, ব্যয় কমল ৪৯ হাজার কোটি টাকা ◈ বাংলাদেশে প্রতিশোধমূলক সহিংসতা তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে জাতিসংঘের প্রতিবেদন: ফলকার টুর্ক ◈ রমজানের শুভেচ্ছা বার্তায় যা বললেন ট্রাম্প ◈ সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের অভিযোগের জবাব দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ নুরুল হক নুরের নতুন দলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গ, যা বলল গণ অধিকার পরিষদ ◈ কমেছে বৈদেশিক বিনিয়োগ, অভ্যন্তরীণ সমস্যাকেই দায়ী করছেন ব্যবসায়ীরা ◈ মজুদকৃত প্রায় ১২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ ◈ ট্রাম্পের ২৯ মিলিয়ন ডলার নিয়ে করা দাবি সত্য নয়: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ◈ কারও লাশ যেন বেওয়ারিশ হিসেবে না থাকে: প্রধান উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ 'কী না করেছি পুলিশের জন্য', সাবেক আইজিপি শহীদুলের আক্ষেপ

প্রকাশিত : ০২ মার্চ, ২০২৫, ০২:৫১ দুপুর
আপডেট : ০৩ মার্চ, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশিসহ ১০ অভিবাসীকে গুয়ানতানামোতে পাঠানো ঠেকাতে ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা

মার্কিন নাগরিক অধিকার সংস্থা অ্যামেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) ট্রাম্প প্রশাসনের গুয়ানতানামো বে নৌঘাঁটিতে ১০ অভিবাসীকে পাঠানোর পরিকল্পনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। খবর: রয়টার্স

সংগঠনটির দাবি, এই স্থানান্তর যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করে এবং আটক অভিবাসীদের অমানবিক পরিস্থিতির মুখে ফেলছে। ওই ১০ অভিবাসীর মধ্যে বাংলাদেশিও আছেন। 

মামলা অনুযায়ী, এই ১০ জন অভিবাসী ভেনেজুয়েলা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের নাগরিক এবং তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বহিষ্কারাদেশ রয়েছে। টেক্সাস, অ্যারিজোনা ও ভার্জিনিয়ায় আটক থাকা এই ব্যক্তিরা অপরাধী নন বা কোনো চরমপন্থী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত নন বলে দাবি করেছে এসিএলইউ। 

তবে, মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মুখপাত্র ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন এই মামলাকে 'ভিত্তিহীন' দাবি করে বলেছেন, সরকার আইনি পথে এর মোকাবিলা করবে।

মামলায় এসিএলইউ অভিযোগ করেছে, গুয়ানতানামোতে আটক অভিবাসীদের জানালাবিহীন কক্ষে প্রতিদিন অন্তত ২৩ ঘণ্টা বন্দি রাখা হয়। তারা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন না এবং প্রায়ই দেহতল্লাশির সম্মুখীন হন।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তারক্ষীরা বন্দিদের সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন, কখনো কখনো চেয়ারে বেঁধে রাখেন, পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেন এবং গুলি চালানোর হুমকি দেন। একজন বন্দির হাত ভেঙে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এসব কঠোর পরিস্থিতির কারণে বেশ কয়েকজন অভিবাসী আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে দাবি সংস্থাটির। 

যদিও মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ এই মামলাকে 'ভিত্তিহীন' দাবি করে বলেছে, তারা আইনি পথে এর মোকাবিলা করবে।

প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রশাসনের সময় অবৈধ অভিবাসীদের দ্রুত বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে গুয়ানতানামোতে অভিবাসীদের পাঠানো শুরু হয়।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সচিব ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, গুয়ানতানামোতে কেবল 'সবচেয়ে বিপজ্জনক' অভিবাসীদের রাখা হচ্ছে। তবে সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দফায় পাঠানো ১৭৭ জন ভেনেজুয়েলাবাসীর এক-তৃতীয়াংশেরই কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড ছিল না।

এর আগে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে এক ফেডারেল বিচারক বেশ কয়েকজন ভেনেজুয়েলাবাসীকে গুয়ানতানামোতে পাঠানোর নির্দেশ স্থগিত করেন। তবে পরে ওই ব্যক্তিদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। এই নীতির আওতায় বাইডেন সরকারের চালু করা 'প্যারোল' কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে, যার মাধ্যমে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া, ভেনেজুয়েলা ও ইউক্রেনের অভিবাসীরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সুযোগ পেতেন।

অভিবাসী অধিকার সংগঠনগুলো বলছে, এই কর্মসূচি বাতিলের সিদ্ধান্ত যথাযথ প্রশাসনিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই নেওয়া হয়েছে। উৎস: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়