রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতায় গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উন্নতি করা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ।
বুধবার প্রকাশিত মার্কিন অলাভজনক গবেষণা সংস্থা ফ্রিডম হাউসের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে ৬০টি দেশের রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার অবনতি ঘটেছে এবং মাত্র ৩৪টি দেশে উন্নতি হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা ও সিরিয়ায় সবচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে।
ফ্রিডম হাউজের সূচকে ২০২৩ সালে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪০। ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয় ৪৫।
এই এক বছরে পাঁচ পয়েন্টের চেয়ে বেশি উন্নতি দেখেনি আর কোনো দেশ। তবে সমান উন্নতি দেখেছে ভুটান। বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করা সিরিয়ার উন্নতি হয়েছে চার পয়েন্ট।
প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে বলা হয়, 'শেখ হাসিনার দেড় দশকের তীব্র দমন-নিপীড়নের পর হঠাৎ করেই শুরু হওয়া রাজনৈতিক সংস্কার বেশ কঠিন কাজ হবে। ২০২৪ সালে ভালো করা অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে পরিবর্তন নির্বাচনের কারণে আসেনি, এসেছে গণবিক্ষোভের ফলে।'
'হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ফলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যম, শ্রমিক ইউনিয়ন, বিচারক, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ওপর দীর্ঘদিনের রাষ্ট্রীয় চাপ হ্রাস পায়। যে কারণে এ বছরের স্কোরে ভুটানের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি উন্নতি দেখেছে বাংলাদেশ।'
সূচকে সব দেশকে তিনটি বিভাগে ভাগ করে ফ্রিডম হাউজ। সেগুলো হলো—স্বাধীন, আংশিক স্বাধীন, পরাধীন।
সূচকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি দেখলেও বাংলাদেশকে এখনো 'আংশিক স্বাধীন' দেশের বিভাগেই রেখেছে গবেষণা সংস্থাটি।
এ বছরের স্বাধীনতা সূচকে দুটি দেশ—সেনেগাল ও ভুটান নতুন করে 'স্বাধীন' বিভাগে যুক্ত হয়েছে।
সূচকে সবচেয়ে বেশি উন্নতি দেখা চার দেশের মধ্যে তিনটিই দক্ষিণ এশিয়ার। বাংলাদেশ ও ভুটানের পর অপর দেশটি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা।
২০২৪ সালে স্বাধীনতা সূচকে সবচেয়ে বেশি অবনমন দেখা চার দেশ হচ্ছে—এল সালভাদর, হাইতি, কুয়েত ও তিউনিসিয়া।