শিরোনাম
◈ চিরতরে ইন্টারনেট শাটডাউন বন্ধে স্টারলিংককে বাংলাদেশে আনা হচ্ছে: প্রেস সচিব ◈ পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিতে রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ দায়বদ্ধ: প্রধান উপদেষ্টা ◈ ৫ দফা দাবিতে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের তৃতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ ভোটারকে ঘুষি মারার দায়ে ব্রিটিশ এমপির কারাদণ্ড (ভিডিও) ◈ ২০০৭ সালে চাকরিচ্যুত ৮৫ নির্বাচন কর্মকর্তাকে পুনর্বহালের নির্দেশ ◈ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের প্রসঙ্গ তুলে আ.লীগ কর্মীদের তোপের মুখে ওয়াশিংটন দূতাবাস কর্মকর্তা ◈ ডিসেম্বরে নির্বাচন ঘিরে সরব রাজনৈতিক  ◈ ধর্ষণের শিকার দাবি করা সেই শিক্ষার্থীর বিষয়ে বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য (ভিডিও) ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুই ম্যাচে বাংলাদেশি ব্যাটারদের ৩৪০ ডট বল ◈ সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়া-দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি

প্রকাশিত : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:২২ দুপুর
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ট্রাম্প আজীবন প্রেসিডেন্ট থাকতে চান; মার্কিন গণতন্ত্র শুরু থেকেই ছিল হাস্যকর

পার্সটুডে-আমেরিকার বিশিষ্ট বিশ্লেষক থমাস ফ্রিডম্যান বলেছেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার রাষ্ট্রপতিত্বের মেয়াদ আজীবন করতে চান। পশ্চিমারা যাদেরকে 'স্বৈরশাসক' বলে অভিহিত করে, ট্রাম্প তাদেরকেও ছাড়িয়ে গেছেন।

বিশিষ্ট এই বিশ্লেষক ও কলামিস্ট নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রবন্ধে আরও বলেছেন: ট্রাম্প নিজেকে খোদার মতো নেতা হিসেবে দেখেন। তিনি নিজেকে তোষামোদি লোক দিয়ে ঘিরে রেখেছেন। এরা বহিষ্কার হবার ভয়ে ক্রমাগত ট্রাম্প এবং তার অজ্ঞতাপূর্ণ সকল অবস্থানকে সমর্থন করে। ইসনা'র বরাত দিয়ে পার্সটুডে আরও জানায়, ফ্রিডম্যানের নিবন্ধে বলা হয়েছে,  ট্রাম্প সত্যিকার অর্থে বিশ্বকে ট্রাম্প টাওয়ারের একটি খুচরা দোকান হিসেবে দেখেন।

ফ্রিডম্যান আরও বলেছেন, ট্রাম্প পরিস্থিতি উল্টে দিতে প্রস্তুত। তিনি বলেন, ট্রাম্প ইউরোপকে এমন একটি বাণিজ্যিক ব্লক হিসেবে দেখেন যারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর প্রচুর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই তিনি ইউরোপকে বিচ্ছিন্ন করে প্রতিটি ইউরোপীয় দেশের সাথে পৃথকভাবে আলোচনা করতে চান। এর পরিণতি সম্পর্কে তার কোন ধারণাই নেই বলে এই নিবন্ধকার মন্তব্য করেন।

ফ্রিডম্যান আরও বলেন ট্রাম্পের অবস্থান রাশিয়ার মতো দেশের শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। আমেরিকার এই বিশ্লেষকের মতে, ট্রাম্পের অবস্থান সম্পূর্ণ 'অজ্ঞতা এবং বোকামির' ওপর ন্যস্ত। অধিকন্তু ফ্রিডম্যান বিশ্বাস করেন, পুতিনের মতো ব্যক্তিত্ব যদি আমেরিকার রাজনীতিবিদ হতেন, নিঃসন্দেহে তিনি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির অবস্থানের চেয়ে ট্রাম্পের অবস্থানের কাছাকাছি থাকতেন। এ কারণেই ট্রাম্প পুতিনকে এমন একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে দেখেন যিনি তার সমর্থকদের একজন হতে পারতেন এবং যারা ৬ জানুয়ারী (২০২১) মার্কিন ক্যাপিটল ভবনে হামলা করেছিল। জেলেনস্কির বিপরীতে ট্রাম্প পুতিনের সাথে সাংস্কৃতিক নৈকট্য অনুভব করেন।

এই বিশিষ্ট বিশ্লেষক আরও বলেন, মার্কিন মধ্যবর্তী নির্বাচনে কাঙ্ক্ষিত ফলাফল অর্জনের জন্য আমেরিকার আইন প্রণেতাদের ট্রাম্পের সমর্থন প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন: আমি ট্রাম্পের সাথে রাজনৈতিক বিশ্বের প্রক্রিয়াগুলো নিয়ে তার মুখোমুখি হওয়া ছেড়ে দিয়েছি, কারণ অন্তত মধ্যবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত তাকে নিয়ন্ত্রণ করার কোনও কৌশল জানা নেই। কেননা সেই সময় পর্যন্ত সিনেট তার পাশে পরিপূর্ণভাবে আছে; প্রতিনিধি পরিষদও সম্পূর্ণরূপে তার পাশে আছে; সুপ্রিম কোর্ট তার পেছনে আছে; তার মিডিয়া ইকোসিস্টেমও সম্পূর্ণরূপে তার পাশে রয়েছে।

ফ্রিডম্যান বলেন: মার্কিন সিনেট এবং প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকান সদস্যরা তাদের তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়ে পড়েছেন এবং ক্রমাগত ট্রাম্পের তোষামোদ করছেন। তিনি বলেন: যদি আমি এই স্তরের তোষামোদ করতাম, তাহলে আমি আয়নায় নিজেকে দেখতে পারতাম না... আমার জীবনে আমি এমন কাউকে চিনি না যে এতটা লাগামহীন আচরণ করে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়