মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের পর একজন স্বাধীন বৈদেশিক নীতি বিশ্লেষক এবং অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র মার্কিন ফরেন সার্ভিস অফিসার জন ড্যানিলোভিজ এই বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে। তাঁর মতে,
১. বাংলাদেশ সম্পর্কে ভারত এত উদ্বিগ্ন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিষয়টি প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের কাছে উত্থাপন করতে পারলেন , কিন্তু যৌথ বিবৃতিতে এটি অন্তর্ভুক্ত করতে চাপ দেবার জন্য সেই তৎপরতা দেখালেন না।
২. ট্রাম্প প্রশাসনের অগ্রাধিকারের তালিকায় বাংলাদেশের সেভাবে স্থান নেই । আমেরিকা ভারতের উদ্বেগের কথা শুনলেও, ইতিমধ্যেই তারা তাদের নীতি ঠিক করে ফেলেছে।
৩. আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সপ্তাহটি ভালো কেটেছে। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ কোনও ইস্যু নয়। জাতিসংঘের প্রতিবেদন প্রকাশ বিশ্বব্যাপী জনমত গঠনে সহায়তা করছে।
৪. সমালোচকরা বাংলাদেশে বিদেশী নেতাদের ভূমিকাকে অত্যধিক গুরুত্ব দিচ্ছে এবং বাংলাদেশকে অবমূল্যায়ন করছে। 'বিদেশী হাত' আসলে একটি মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাধারা।
৫. এই সপ্তাহের ঘটনাবলী এবং তাদের ঘিরে উদ্বেগ সম্ভবত বাংলাদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তকে ত্বরান্বিত করবে। সংস্কার এবং নির্বাচনের বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে আইজি-র ঐক্যমত্য কমিটিকেও সাহায্য করতে পারে। অনুবাদ : মানবজমিন
আপনার মতামত লিখুন :