শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ড কলেজে শতাব্দীর রীতি: দাস নারীর খুলিতে তৈরি পাত্রে পরিবেশন হতো পানীয়! ◈ বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার ◈ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১০ ◈ আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর হাইকোর্টে জামিন ◈ কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয় ◈ পারভেজ হত্যা: ‘দুই বান্ধবীকে’ খুঁজছে পুলিশ ◈ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: এবার নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ◈ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৬:২৭ সকাল
আপডেট : ০৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসরাইল করে ধ্বংস, ট্রাম্প করে দখল

পার্সটুডে-গাজার জনগণকে ফিলিস্তিন থেকে উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন তাকে এক্স নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীরা মার্কিন পুনঃউপনিবেশবাদের স্পষ্ট লক্ষণ বলে মনে করছেন।

কাভা আহাঙ্গার নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী মনে করেন: ট্রাম্প গাজাকে বিনামূল্যে দখল করতে চায়। পার্সটুডে আরও জানিয়েছে, আহাঙ্গার মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লিখেছেন: এটা মিথ্যা কল্পনামাত্র। এই মাটির প্রতিটি অংশ ৭৫ বছরের প্রতিরোধের রক্তে লাল হয়ে আছে এবং লালই থাকবে।"

নাদের নামের অপর এক এক্স নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারী বলেছেন, বিশ্ব তিক্ত হাস্যরসের একটি দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও লিখেছেন: আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী নীতি এখন এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যেখানে তারা গাজায় ইসরাইলের ধ্বংস এবং দখলকে যথেষ্ট বলে মনে করে না। ট্রাম্প ইসরাইলকে বলছেন: এবার আমি নিজেই আসব। আমাদের নামে গাজা'র নাম রাখবো। ইজরাইল! তুমি নষ্ট করো, কিন্তু এবার আমি এই ভূমিতে আমার নাম লিখতে আসছি! এই এক্স ব্যবহারকারীর মতে, ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে আমেরিকার উপনিবেশবাদ আবারও তার খোলস থেকে বেরিয়ে এসেছে।

এক্স নেটওয়ার্কের এক ইংরেজিভাষী ইউজার হলেন তিরা। তিনিও ট্রাম্পের গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের বহিষ্কারের প্রস্তাবকে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। তিনি লিখেছেন: এই পরিকল্পনা অতীতের ঔপনিবেশিক নীতি এবং জাতিগত নির্মূল অভিযানের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। এই ধরনের পদক্ষেপ সংকটের সমাধান তো করেই না বরং সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতাকেও বাড়িয়ে তোলে।

এক্স সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সদস্য লিন হেনরিও বলেছেন: গাজা ট্রাম্প কিংবা ইসরাইলের নয় যে এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি লিখেছেন: ওই ভূখণ্ড ফিলিস্তিনিদের। সুতরাং তারাই সিদ্ধান্ত নেবে ইসরাইল এবং আমেরিকার হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত তাদের উপরিকাঠামো পুনর্নির্মাণে সাহায্য করবে। ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলতে হবে এবং গাজার ওপর তাদের দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে।

আহমাদ নামের অপর এক এক্স ব্যবহারকারী তার টাইমলাইনে লিখেছেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজাকে সাফ করতে চায় অর্থাৎ একটি প্রাচীন জাতিকে তাদের ভিটেমাটি থেকে নির্মূল করতে চায় যা যে-কোনো অর্থেই যুদ্ধাপরাধ।

নূর শামস নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে সতর্ক করে লিখেছেন: ট্রাম্প! গাজা তোমার নয় যে তার ভাগ্য নির্ধারণের দায়িত্ব তুমি নেবে! সেখানকার বাসিন্দারা দাবার গুটি ঘুঁটি নয় যে তুমি যেভাবে ইচ্ছা সেভাবে সরাতে পারো। স্থানান্তর করার পরিবর্তে গাজাকে স্বাধীন করার দিকে মনোনিবেশ করাই ভালো হবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়