শিরোনাম

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৩ দুপুর
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্রিকস এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ইরানের দূরদর্শী চিন্তার ফসল: রাশিয়ান অধ্যাপক

পার্সটুডে - রাশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক বলেছেন, সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই, তৃতীয় পথের সংগ্রাম অথবা অন্য দেশের উপর একটি দেশের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রেরণা ইরানের ইসলামী বিপ্লবের পথ ধরেই শুরু হয়েছে।

গত কয়েক দশক ধরে বৈশ্বিক কাঠামোতে পরিবর্তনের  যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে সে কথা উল্লেখ করে রাশিয়ান প্রাচ্যবিদ এবং ইরান বিশেষজ্ঞ বলেছেন: "ব্রিকস এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মতো প্রতিষ্ঠানের গঠন প্রকৃতপক্ষে ইরানের ইসলামী বিপ্লবেরই দূরদর্শী চিন্তার ফসল।" পার্সটুডে জানিয়েছে, মস্কোতে ইরনাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এলেনা দুনায়েভা আরও বলেছেন: "ইরানের ইসলামী বিপ্লব ছিল বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি এবং বিশ্বে এর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে।"

সমসাময়িক ইতিহাসে ডক্টরেট ডিগ্রিধারী এই রুশ বিশেষজ্ঞ বলেছেন, "বর্তমান যুগেও আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার উপর ইসলামী বিপ্লবের প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।"

রাশিয়ার এই প্রাচ্য বিশেষজ্ঞ  আরো বলেছেন: ইরানের ইসলামী বিপ্লবের একটি স্লোগান ছিল "পূর্বও নয়, পশ্চিমও নয়", যার অর্থ ছিল বিশ্বের অন্যান্য দেশের উপর পরাশক্তির আধিপত্য দূর করা। সেই সময়ে, বিশেষ করে সোভিয়েত ইউনিয়নের নাগরিকদের মধ্যে, এই স্লোগানটি বোধগম্য এবং গ্রহণযোগ্য ছিল না, কিন্তু এখন আমরা এমন এক যুগে বাস করছি যখন বৈশ্বিক কাঠামোতে পরিবর্তন হচ্ছে এবং এটা লক্ষ করা যাচ্ছে যে ব্রিকস এবং সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের গঠন ইসলামী বিপ্লবের দূরদর্শী চিন্তার বিকাশ এবং সম্প্রসারণের ফল।

বিশ্বের তৃতীয় পথের সংগ্রাম সম্পর্কে মরহুম ইমাম খোমেনির তত্ত্বের কথা উল্লেখ করে দুনায়েভা বলেন: "ইসলামী বিপ্লব এবং ইরানে ইসলামী প্রজাতন্ত্রী সরকার ব্যবস্থা গঠনের ৪৬ বছর পর, আমরা সকলেই এই ধারণাটি অর্থাৎ ("পূর্বও নয়, পশ্চিমও নয়" স্লোগান) গ্রহণ করি এবং বলা যেতে পারে যে আমরা এই তৃতীয় পথের সংগ্রামের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি।"

মস্কো সরকারী ইউনিভার্সিটির এশিয়া ও আফ্রিকা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক আরও বলেন: "বহুপাক্ষিক বিশ্বব্যবস্থার ধারণাটি এখন বিশ্বে ব্যাপক জনসমর্থন লাভ করেছে এবং ইরান এই ধারণার অন্যতম প্রধান উদ্ভাবক হিসেবে ব্রিকস কাঠামোতে প্রবেশ করেছে।"

এই প্রাচ্যবিদ উল্লেখ করেছেন: প্রকৃতপক্ষে, তৃতীয় পথের আন্দোলন বা সংগ্রাম, অথবা সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করার এবং অন্য দেশের উপর একটি দেশের আধিপত্যের মোকাবিলা করার চেতনা মূলত ইরানের ইসলামী বিপ্লব থেকে পাওয়া প্রেরণা থেকেই এসেছে।

২০২৪ সালের শুরুতে  ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ২০২৫ সালের শুরুতে ইন্দোনেশিয়া ব্রিকস গ্রুপের মূল সদস্য হিসেবে যোগদান করে, যার ফলে এই জোটের সদস্য সংখ্যা এখন দশে পৌঁছেছে। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়