শিরোনাম
◈ জামায়াতকে উদারতা দেখিয়ে বিএনপি উপহার হিসেবে পেয়েছে মুনাফেকি: রিজভী (ভিডিও) ◈ নির্বাচন নিয়ে একাট্টা হচ্ছে রাজনীতিবিদরা, মান্নার চা চক্রে বিভিন্ন নেতারা ◈ এসপি ইমনকে সারদা থেকে তুলে নিয়ে গেছে ডিবি পুলিশ ◈ ৫ আগস্টের পর আওয়ামীপন্থী বলে গণমাধ্যমের ওপর প্রতিশোধমূলক হামলা হয়: জাতিসংঘ ◈ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে ফেসবুকে যা লিখলেন জামায়াত আমির ◈ সংযুক্ত আরব আমিরাতের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজাকে জাহান্নাম বানানোর হুমকি দিয়ে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন : জামায়াত  ◈ হত্যা মামলায় সাবেক সিএমপি কমিশনার গ্রেপ্তার, জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ ◈ শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ক্রসফায়ার দেওয়া হতো: আদালতে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান ◈ সিরিজের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার কাছে ধাক্কা খেলো অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৫:৪৯ বিকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হাসিনা সরকার ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল : ফলকার টুর্ক

বাংলাদেশের জনগণের বিরোধিতার মুখেও ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে চেয়েছিল হাসিনা সরকার। সে লক্ষ্য পূরণে বিক্ষোভ দমন করার কৌশল নিয়েছিল তারা। এর অংশ হিসেবে শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্বিচার গ্রেপ্তার-আটক ও নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে। জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক এমন অভিমত দিয়েছেন।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে টুর্কের এমন বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, গত বছর ছাত্র নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সময় আওয়ামী লীগের সহিংস কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বাংলাদেশের সাবেক সরকার এবং নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো পদ্ধতিগতভাবে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জড়িত ছিল। ক্ষমতায় থাকার জন্য সাবেক সরকার ক্রমাগত সহিংস পথ ব্যবহার করে পদ্ধতিগতভাবে বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা করেছিল। খবর : আল আরাবিয়া

ফলকার টুর্ক বলেন, ‘জনবিরোধিতার মুখে ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে একটি পরিকল্পিত এবং সুসমন্বিত কৌশল হিসেবে এমন নৃশংস পদক্ষেপ নিয়েছিল সাবেক সরকার। বিক্ষোভ দমন করার কৌশলের অংশ হিসেবে রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে, তাদের সমন্বয় ও নির্দেশনায় শত শত বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, নির্বিচার গ্রেপ্তার ও আটক এবং নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে।’

টুর্ক আরও বলেন, ‘আমরা যে সাক্ষ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি, তা ব্যাপক রাষ্ট্রীয় সহিংসতা এবং নিশানা করে হত্যার এক উদ্বেগজনক চিত্র তুলে ধরে। যা সবচেয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার মধ্যে পড়ে এবং যা আন্তর্জাতিক অপরাধের শামিল বলেও বিবেচিত হতে পারে।’

প্রসঙ্গত, প্রাণহানির ঘটনাগুলো নিয়ে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অনুরোধে জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয় গত সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশে একটি প্রতিনিধিদল পাঠায়। ওই প্রতিনিধিদলে ছিলেন মানবাধিকারবিষয়ক তদন্তকারী, একজন ফরেনসিক চিকিৎসক এবং একজন অস্ত্র বিশেষজ্ঞ। অনুবাদ: চ্যানেল২৪

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়