ইফতারে মূল খাবার হিসেবে যেসব আইটেম থাকবে সেগুলোর সঙ্গে ইফতার সরবরাহকারীরা আর মাত্র দুটি খাবার যুক্ত করতে পারবেন। পবিত্র মদিনার মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন এই নিয়ম বেঁধে দিয়েছে মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে নববীতে অনেক প্রতিষ্ঠান ও অনেকে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইফতার সরবরাহ করে থাকেন। মসজিদে নববীতে ইফতারের মূল খাবার আইটেম হিসেবে থাকবে খেজুর, রুটি, দই। সেই সঙ্গে দেয়া হবে প্যাকেটজাত টিস্যু ও পানির বোতল। খবর গালফ নিউজের।
মসজিদ কর্তৃপক্ষ তাদের বেঁধে দেয়া নিয়মে জানিয়েছে, যারা ইফতার সরবরাহ করবেন তারা চাইলে বাদাম, কাপকেক, পাই, কুকি এবং মাংস-পুদিনা-শাক দিয়ে ঠাসা সেদ্ধ খেজুর দিতে পারেন। তবে দুটি আইটেমের বেশি দেয়া যাবে না।
এছাড়া ইফতার সরবরাহ করতে হবে অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে। এবং যারা রোজাদারদের সেবা দিতে ইচ্ছুক তাদের তথ্য ওয়েবসাইটে সার্বক্ষণিক আপডেট করতে হবে।
মসজিদে নববীতে ইফতারে নতুন নিয়ম চালুর মূল কারণ হলো পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাবারের অপচয় কমানো, ভিড় ও বিশৃঙ্খলা কমানো এবং ইফতার ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংগঠিত করা।
অনেক মানুষ একসঙ্গে ইফতার করেন, ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিক বা অনিয়ন্ত্রিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সমস্যা তৈরি হতে পারে। নির্দিষ্ট আইটেম সীমিত রাখলে খাবার বণ্টন সহজ হবে এবং মসজিদের পবিত্রতা বজায় রাখা যাবে। বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ইফতার সরবরাহ করে, ফলে খাবারের বৈচিত্র্য বেড়ে যায় এবং অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় ভিড় তৈরি হয়। নির্দিষ্ট খাবারের তালিকা বেঁধে দিলে ইফতার বিতরণ ও গ্রহণ সহজ হবে।
অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে খাবার সরবরাহের নিয়ম করা হয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিত হয়।অনিয়ন্ত্রিতভাবে খাবার বিতরণ করলে কখনো কখনো নিম্নমানের খাবার বিতরণের ঝুঁকি থাকে।
কেউ যেন খুব বেশি বা খুব কম খাবার না পায়, সেজন্য নির্দিষ্ট সংখ্যক আইটেম নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে ইফতারের সময় সবাই একই ধরনের খাবার পাবে এবং বৈষম্য তৈরি হবে না। ইফতারে অতিরিক্ত বা বিভিন্ন ধরনের খাবার দেয়া হলে অনেক সময় রোজাদাররা সব খাবার খেতে পারেন না, ফলে প্রচুর খাবার নষ্ট হয়।
এখন নির্দিষ্ট তিনটি প্রধান আইটেম (খেজুর, রুটি, দই) ও মাত্র দুটি অতিরিক্ত আইটেম অনুমোদিত থাকায় খাবার অপচয়ের সুযোগ কমে যাবে। অতীতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে ইফতার বিতরণ করত, যা অনেক ক্ষেত্রে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি হতো। এখন অনুমোদিত ক্যাটারিং কোম্পানির মাধ্যমে খাবার সরবরাহ করতে হবে, যা পরিমিত ও নিয়ন্ত্রিত হবে। অনুবাদ: চ্যানেল24
আপনার মতামত লিখুন :