শিরোনাম
◈ অক্সফোর্ড কলেজে শতাব্দীর রীতি: দাস নারীর খুলিতে তৈরি পাত্রে পরিবেশন হতো পানীয়! ◈ বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদা কম: বাণিজ্যিক ব্যাংকের ওপর সরকারের নির্ভরতা বেড়েছে ◈ বাংলাদেশের সঙ্গে এলএনজি সরবরাহ চুক্তি নবায়ন করবে কাতার ◈ বিভিন্ন জায়গায় ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ১০ ◈ আওয়ামীপন্থি সেই ৬১ আইনজীবীর হাইকোর্টে জামিন ◈ কুয়েট ভিসির অপসারণের দাবিতে দেড় ঘণ্টা অবরোধের পর কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়ল শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ মিরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধের সংস্কার হচ্ছে, ভাঙচুর নয় ◈ পারভেজ হত্যা: ‘দুই বান্ধবীকে’ খুঁজছে পুলিশ ◈ ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল: এবার নতুন তথ্য দিলেন ভারতের সাবেক বাণিজ্য কর্মকর্তা ◈ সাবেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা এডিসি নাজমুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

প্রকাশিত : ০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কঙ্গোয় ১৫০ নারী বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা

ডিআর কঙ্গোর গোমা কারাগারে ১৫০ জনের বেশি নারী বন্দিকে গণধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। ওই কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া পুরুষ বন্দিরা এই আগুন লাগিয়ে দেয় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার মুখপাত্র সাইফ ম্যাঙ্গাঙ্গো বলেন, পালিয়ে যাওয়া পুরুষ বন্দিদের হাতে ধর্ষণের শিকার ১৬৫ জন নারীর মধ্যে বেশিরভাগই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র ৯ থেকে ১৩ জন প্রাণে বেঁচেছেন। তারাও সবাই ধর্ষণের শিকার। কঙ্গোর বিচার বিভাগের একটি সূত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ম্যাঙ্গাঙ্গো বলেন, আমরা স্বাধীনভাবে এই প্রতিবেদন যাচাই করিনি। তবে এটি নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করছি।

গত ২৭ জানুয়ারি এম২৩ বিদ্রোহীরা কঙ্গোর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছিল। এ সময় পুরুষ বন্দিরা কারাগার থেকে পালানোর ছক কষে এবং ৪ হাজারের বেশি বন্দি মুজেঞ্জে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়।

জাতিসংঘের সহযোগী গণমাধ্যম রেডিও ওকাপি জানিয়েছে,  পালানোর সময় কিছু বন্দি কারাগারে আগুন ধরিয়ে দেয়, যেখানে নারী বন্দিরা আটকা পড়ে পুড়ে মারা যায়। এ সময় তাদের আটকাতে গিয়ে কিছু পুরুষ বন্দিকে কারারক্ষীরা হত্যা করলেও অধিকাংশ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে পুরো কারাগারটি ধ্বংস হয়ে গেছে।

কঙ্গোর যোগাযোগমন্ত্রী প্যাট্রিক মুইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সরকার এই বর্বর অপরাধের তীব্র নিন্দা জানায়।

মধ্য আফ্রিকার এই দেশটিতে যুদ্ধ ও সংঘাতের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই যৌন সহিংসতা একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এদিকে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার আরেক মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স এক বিবৃতিতে বলেন, কঙ্গোর সেনাবাহিনী এবং তাদের মিত্র বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধেও ৫২ জন নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এর মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে বর্তমানে গোমা দখলের দাবি করা বিদ্রোহী গোষ্ঠী এম২৩। সেখানে গত এক সপ্তাহের সংঘর্ষে প্রায় ৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়